চট্টগ্রামে হারানো যাওয়া দুই শিশু সিলেটে উদ্ধার

খেলাধুলা করার সময় এক লোক দুই শিশুর সঙ্গে ভাব জমিয়ে কিছু খেতে দেয়। এরপর তাদের ঘুম চলে আসে। সকালে ঘুম ভেঙে দেখে তাদের হাত-পা বাঁধা। একটি খালি কন্টেইনারের মধ্যে তারা। এরপর তারা অনেক চেষ্টা করে হাত-পায়ের বাঁধন খুলে দেখে নিজেদের অবস্থান একটি রেল স্টেশনের কাছে। একপর্যায়ে তারা একটি দোকানের সামনে যায়। এরপর ৯৯৯-এ ফোন করে শিশু দুটিকে উদ্ধারের অনুরোধ জানান এক ব্যবসায়ী।

বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় সিলেট দক্ষিণ সুরমা পূর্বাশা মার্কেটের ট্রাক্টর স্পেয়ার পার্টসের ব্যবসায়ী মোবারক ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনার বিবরণ সাংবাদিকদের জানান পুলিশের জাতীয় জরুরি সেবা সেন্টারের মিডিয়া অফিসার পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার।

ব্যবসায়ী মোবারক জাতীয় সেবায় ফোন করে জানান, সকালে দোকান খুলতে এলে মার্কেটের পাশে দুটি শিশুকে কান্না করতে দেখেন। পরে তাদের কাছে গিয়ে শান্তনা দেন। কান্না থামিয়ে শান্ত হয়ে শিশু দুটি জানায় তারা চট্টগ্রামে থাকত।

৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার একটি দল ঘটনাস্থলে যায় এবং শিশু দুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। শিশু দুটির মধ্যে আলাউদ্দীনের (১৪) বাবার নাম কনু মিয়া এবং ফয়সালের (৭) বাবা মৃত বাদশা মিয়া। দুই পরিবারের স্থায়ী ঠিকানা কুমিল্লার মুরাদনগর। শিশুরা চট্টগ্রামে পরিবারের সঙ্গে থাকত।

পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার সাত্তার বলেন, সকালে ফোন পেয়ে ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মামুনুর রশিদ কলটি রিসিভ করলে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। পরে মামুন তাৎক্ষণিকভাবে দক্ষিণ সুরমা থানায় বিষয়টি জানিয়ে শিশু দুটিকে উদ্ধারের জন্য অনুরোধ জানান। এরপর এসআই ফজলে হাসান শাহ এবং সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশী তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।

ইতোমধ্যে শিশু আলাউদ্দীনের বাবার সঙ্গে দক্ষিণ সুরমা থানার পুলিশ যোগাযোগ করেছে। তিনি চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ দলের নেতৃত্বে থাকা এএসআই সুভাষ চন্দ্র ৯৯৯ কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।