চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড, পাল্টা পদক্ষেপে ৬০০ বিলিয়ন সংগ্রহের পরিকল্পনা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জুন ২০২২, ৭:৪৫:৩৬
জি৭ নেতারা চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড পরিকল্পনার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য ৬০০ বিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহের বিশদ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।
পশ্চিমা দেশগুলো আগে থেকেই মনে করে- চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
জার্মানির ব্যাভারিয়ায় জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হয়েছেন বিশ্বের উন্নত সাতটি দেশের নেতারা। আল্পস পার্বত্যাঞ্চলে ব্যাভারিয়ার এলমাউ ক্যাসেলে একত্র হয়েছেন তারা।
এই সম্মেলনের আয়োজক জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ। জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বনেতারা জলবায়ু পরিবর্তনসহ সম্ভাব্য বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি নিয়েও আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।
জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার পাশাপাশি চীনকে নিয়েও কথা হচ্ছে। শীর্ষস্থানীয় সাত নেতা দেশটিকে পদ্ধতিগত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই দেখছেন। হোয়াইট হাউসের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল মুখপাত্র জন কারবি বলেছেন, ‘চীনের জবরদস্তিমূলক আর্থিক অনুশীলন, বাধ্যতামূলক শ্রমের ব্যবহার, মেধাস্বত্ব চুরি—সব কিছুই জি৭-এর সামনে ও কেন্দ্রে রয়েছে। আমার মনে হয়, আপনারা জি৭ সম্মেলন এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে চীনকে অনেকটাই সামনে দেখতে পাবেন। ‘
পার্টনারশিপ ফর গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট (পিজিআইআই) ইংল্যান্ডে গত বছরের জি৭ আলোচনায় উন্মোচিত একটি স্কিম পুনরায় চালু করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই পরিকল্পনা সবার জন্য রিটার্ন প্রদান করবে। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই- এটি সাহায্য বা দাতব্য কাজ নয়। এটি একটি বিনিয়োগ; যা প্রত্যেককে রিটার্ন প্রদান করবে।
এ পরিকল্পনার আওতায় মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে অবকাঠামো তৈরির প্রকল্প চালুর জন্য পাঁচ বছরে ৬০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করতে জি৭ নেতাদের আহ্বান জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র অনুদান, ফেডারেল তহবিল এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগের মাধ্যমে মোট ২০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরও ৩০০ বিলিয়ন ইউরোর ঘোষণা করেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশকে ট্রেন, সড়ক ও বন্দর নির্মাণে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে চীনের অর্থনৈতিক উদ্যোগ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ। কিন্তু সহায়তা নেওয়া দেশগুলোর ওপর চীন ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এবারের জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বনেতারা জলবায়ু পরিবর্তনসহ সম্ভাব্য বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি নিয়েও আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে। আর জি৭ নেতাদের ৬০০ বিলিয়ন ডলারের এই উদ্যোগটি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, বিশ্ব স্বাস্থ্যের উন্নতি, লিঙ্গসমতা অর্জন এবং ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণের দিকে পরিচালিত করবে।
সূত্র: বিবিসি