সাড়ে ৪ কোটি টাকার চেক পেল হাদিসুরের পরিবার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ জুন ২০২২, ৯:৪৯:৪৪
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রাশিয়ার রকেট হামলায় নিহত এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের নাবিক মোহাম্মাদ হাদিসুর রহমানের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে সাড়ে চার কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বিএসসি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে হাদিসুরের পরিবারের হাতে চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি এমভি বাংলার সমৃদ্ধির অন্য ২৮ কর্মকর্তা ও নাবিককে তাদের র্যাঙ্ক অনুযায়ী সাত মাসের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ দেয়া হয়েছে। হাদিসুরের মেজো ভাই তরিকুল ইসলাম অনুষ্ঠান শেষে মোবাইল ফোনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক কমোডোর এস এম মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌ-পরিবহন সচিব মোস্তফা কামাল।
জানা যায়, বিএসসির মালিকানাধীন জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি ডেনিশ কোম্পানি ডেল্টা করপোরেশনের অধীনে ভাড়ায় চলছিল। মুম্বাই থেকে তুরস্ক হয়ে জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে যায়। সেখান থেকে সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে ২৯ জন নাবিক নিয়ে অলভিয়া বন্দরে আটকা পড়ে জাহাজটি।
গত ২ মার্চ রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান নিহত হন। তবে অন্য ২৮ জনকে অক্ষত অবস্থায় জাহাজটি থেকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় সরিয়ে নেয়া হয়। এরপর ৫ মার্চ হাদিসুরের লাশ ও বেঁচে যাওয়া ২৮ নাবিককে অলভিয়া বন্দর সংলগ্ন বাংকার (শেল্টার হাউজ) থেকে বের করে মালদোভা হয়ে ৬ মার্চ রোমানিয়া নেয়া হয়। ৯ মার্চ ২৮ নাবিক রোমানিয়ার বুখারেস্ট বিমানবন্দর থেকে তার্কিশ এয়ারের একটি ফ্লাইটে ইস্তাম্বুল হয়ে ঢাকায় ফেরেন। গত ১৪ মার্চ দুপুরে বাংলাদেশের শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে লাশ পৌছে এবং ওই দিন রাত ৯টা ৪০ মিনিটে হাদিসুর রহমানের লাশ বরগুনার বেতাগীর কদমতলা গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। পরের দিন ১৫ মার্চ সকাল ১০টায় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।