সিলেটের ৬ উপজেলায় বন্যা, দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ মে ২০২২, ৯:৫১:৩৬
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের ছয় উপজেলার বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
জৈন্তাপুর উপজেলায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তবে নিম্নাঞ্চলে দেখা দেওয়া বন্যা পরিস্থিতির ক্রমোন্নতি হচ্ছে। পানি কমতে শুরু করেছে কিছু কিছু এলাকায়।
প্রধান প্রধান নদীগুলোর পানিও আর বাড়ছে না। ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল না নামলে দ্রুত বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে মনে করছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর জন্য রোববার পর্যন্ত ১০৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করেছে জেলা প্রশাসন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানান, বন্যাকবলিত পাঁচ উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে রোববার পর্যন্ত ১০৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট জানায়, রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত সুরমা, কুশিয়ারা ও সারি নদীর পানি কয়েকটি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হলেও আর বাড়েনি। সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে, কুশিয়ারার পানি জকিগঞ্জের অমলসিদে এবং সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার উপরে ছিল গতকালও।
এছাড়াও পিয়াইন ও ধলাই নদীর পানিও বিপৎসীমার উপরে ছিল কয়েকটি পয়েন্টে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, সিলেটে ১৮ মে পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে বৃষ্টি হবে রাতের বেলা।
উজানের ঢল ও বৃষ্টিতে সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ছয় উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ বন্যার কারণে দুর্ভোগে আছেন।
এর মধ্যে জৈন্তাপুর উপজেলার জৈন্তাপুর, দরবস্ত, নিজপাট ও ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ এখনো পানিবন্দি। গ্রামের সঙ্গে উপজেলা সদরের সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফসলি জমিও তলিয়ে গেছে। বন্যায় গোয়াইনঘাট-রাধানগর সড়ক, গোয়াইনঘাট-সোনারহাট সড়ক ডুবে আছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাহমিলুর রহমান জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ২৪ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জে পানিবন্দি রয়েছে শতাধিক পরিবার। ফসলি জমিও পানির নিচে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুসিকান্ত হাজং জানান, দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।