লন্ডনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফলাফলের নেপথ্যে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ মে ২০২২, ৮:০৪:০২
ব্রিটেনের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি শত শত কাউন্সিলে আসন হারিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ‘পার্টিগেট’ কেলেংকারি এবারের নির্বাচনে ভোটারদের কাছে ইস্যু হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে বলে শনিবার প্রকাশিত বিভিন্ন বারার ভোটের ফলাফলে প্রতীয়মান হয়েছে। লন্ডনের ৩২টি বারার মধ্যে সিংহভাগ বারায় বর্জ্য নিয়ে অব্যবস্থাপনা,বাসস্থান সংকটের সঙ্গে অন্য জাতীয় ইস্যুগুলো ভোটারদের কাছে প্রাধান্য পেয়েছে।
বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসে বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া আলোচিত সাবেক দুই বারের মেয়র লুৎফুর রহমান বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন সব বড় দলের প্রার্থীদের সঙ্গে লড়াই করে। লুৎফুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত অপপ্রচার আর বাংলাদেশি কমিউনিটির একটি অংশের বিরোধিতা ভোটাররা যে মেনে নেননি, তা প্রতীয়মান হয়েছে ব্যালটের ফলাফলে।
শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর একটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টাওয়ার হ্যামলেটসের কাউন্সিলার পদে ভোট গণনা চলছিল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ১৬টি সিটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে ছিল লুৎফুর রহমানের নিজের দল এস্পায়ার পার্টি।
লন্ডনে লেবার পার্টি কনজারভেটিভের কাছ থেকে ওয়েস্টমিনিস্টার, ওয়ান্ডসওয়ার্থ এবং বার্নেট বারায় জিতলেও তারা হ্যারো হারিয়েছে কনজারভেটিভের কাছে। নিউ হ্যামে লেবার পার্টির রুকশানা ফিয়াজ পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন।
ক্রয়েডনে জেসন পেরি কনজারভেটিভ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বারার প্রথম সরাসরি মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন সামান্য ব্যবধানে। অনিয়মের কারণে দেউলিয়া এ কাউন্সিলের পরিস্থিতি পরিবর্তনে ভোটারদের ক্ষোভ আর হতাশার ভোট গেছে কনজারভেটিভের বাকশে। লেবার অধ্যুষিত এ বারার নির্বাচনি ফলাফল কাউন্সিলের অব্যবস্থাপনার সংকট কতটা কাটাতে পারবে সেটিই এখন দেখার বিষয়।
ব্রমলিতে চিসলেহার্স্ট ওয়ার্ডে নবগঠিত দল চিসলেহার্স্ট ম্যাটারস সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার করে এবং কয়েকটি স্থানীয় সমস্যায় ফোকাস করার পরে একটি অত্যন্ত কার্যকর প্রচারণা চালানোর পরে তিনটি আসন জিতেছে। কিন্তু কনজারভেটিভ এখনও সিংহভাগ আসন জিতে কাউন্সিলের সামগ্রিক নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। কাউন্সিল নেতা কলিন স্মিথ পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন।
লুইশামে লেবার পার্টি নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। মেয়র ড্যামিয়েন এগানের ভোট বেড়েছে। ল্যামব্যাথ বারায় লেবার নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে, যদিও লিবডেম কয়েকটি আসন লাভ করেছে।
ইসলিংটনে, লেবার ৪৮টি আসনের মধ্যে ৪৫টি আসন জিতে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পেরেছে। বাকি তিনটিতে গ্রিন পার্টি জিতেছে। লেবার গ্রিনউইচ ও সাউথওয়ার্ক বারার নিয়ন্ত্রণ এবারের নির্বাচনেও ধরে রেখেছে। সাউথওয়ার্ক লেবার নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। এনফিল্ডে কনজারভেটিভের কাছে লেবারদের সামগ্রিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ২৯ থেকে কমে ১৩-তে ঠেকেছে।