দেশে করোনা শনাক্ত দুই হাজারের নিচে, মৃত্যু আরও ২১
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ৫:৫৩:৩৯
ওমিক্রন তাণ্ডবের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত আছে। ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমে দুই হাজারের নিচে এসেছে। যদিও সে তুলনায় মৃত্যু ধারাবাহিকভাবে কমছে না।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় তার আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগী কমলেও মৃত্যু বেড়েছে।
অধিদফতর জানাচ্ছে, ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায় করোনায় নতুন শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৯৮৭ জন। মারা গেছেন ২১ জন। ১৯ ফেব্রুয়ারিতে তার আগের ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ১৫০ জন শনাক্ত ও ১৩ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি দৈনিক রোগী দুই হাজারের নিচে ছিল। সেদিন অধিদফতর এক হাজার ৪৯১ জন শনাক্ত হবার কথা জানিয়েছিল। তারপর থেকে টানা গতকাল ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রোগী দুই হাজারের বেশি ছিল। অর্থাৎ, ২৬ দিন পর দৈনিক শনাক্ত রোগী নেমে এলো দুই হাজারের নিচে।
অধিদফতর জানাচ্ছে, এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবে করোনায় মোট শনাক্ত ১৯ লাখ ৩৩ হাজার ২৯১ জন। মারা গেছেন ২৮ হাজার ৯৬৫ জন। আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯ হাজার ২৫২ জন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ ১৭ লাখ ৫৪ হাজার ৫৮৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২৫ হাজার ৪১১টি আর পরীক্ষা হয়েছে ২৫ হাজার ৪০৫টি। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৩২ লাখ আট হাজার ৮৬৭টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৮৮ লাখ ৬৯ হাজার ৩১টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৩ লাখ ৩৯ হাজার ৮৩৬টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় শনাক্তের হার সাত দশমিক ৮২ শতাংশ। এখন পর্যন্ত শনাক্তের গড় হার ১৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৭৬ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২১ জনের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন আর নারী সাত জন। এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৮ হাজার ৪৯৯ জন। নারী ১০ হাজার ৪৬৬ জন।
বয়স বিবেচনায় ৭১-৮০ বছরের মধ্যে আছেন আট জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৮১-৯০ বছরের দুই জন, ৯১-১০০, ২১-৩০, ৩১-৪০, ৪১-৫০ এবং ৫১-৬০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন একজন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, মারা যাওয়া ২১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগেই মারা গেছেন ১২ জন। বাকিদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে চার জন, রংপুর বিভাগে দুই জন, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে মারা গেছেন একজন করে।
মারা যাওয়া ২১ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৩ জন আর বেসরকারি হাসপাতালে আট জন।