সিলেটে নিজ সন্তান হত্যা : রিমান্ডে নেওয়া সেই মা হাসপাতালে
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১:৫০:৫০
সিলেটে নিজের শিশুকন্যাকে হত্যার মামলায় রিমান্ডে নেওয়া শিক্ষিকা মা নাজমিন আক্তারকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিন দিনের রিমান্ডের প্রথম দিন শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শাহপরান থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ডায়াবেটিসের সুগার বেড়ে যাওয়ার কথা বলায় নাজমিনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দেড় বছরের শিশুকন্যা সাবিহা আক্তার খুনের ঘটনায় তার বাবা কাতার প্রবাসী সাব্বির হোসেন মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে শিশুটির মা স্কলার্স হোমের শিক্ষিকা নাজমিন আক্তারকে।
এ মামলায় গত বৃহস্পতিবার নাজমিনকে আদালতে হাজির করলে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তি দেননি। যদিও বুধবার গ্রেফতারের পরপরই নাজমিন পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে বক্তব্য দিয়েছিলেন।
এদিকে পুলিশের চাওয়া পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ওসি আনিসুর রহমান জানান, সিলেট মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক সুমন ভূঁইয়ার আদালতে রিমান্ড মঞ্জুরের পরই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নাজমিন সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বাদেপাশা ইউনিয়নের কালিকৃষ্ণপুর গ্রামের মো. জিয়া উদ্দিনের মেয়ে। তিনি সিলেটের একটি বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষিকা। গত বুধবার নাজমিনের গর্ভজাত দেড় বছর বয়সী সন্তানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতা আটক করে পুলিশে দেন নাজমিনকে।
বুধবার নাজমিনকে আটক করে থানায় নেওয়ার পর তার স্বামী কাতার প্রবাসী সাব্বির হোসেনকেও থানায় নিয়ে আসা হয়। এ সময় নাজমিন চিৎকার করে স্বামীর বিরুদ্ধে চরিত্রহীনতাসহ নানা অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি দাবি করেন- স্বামীর সঙ্গে বিরোধের জেরেই মেয়েকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেছেন। রাতেই স্ত্রী নাজমিনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন সাব্বির। তবে আদালতে যাওয়ার পর এমন স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হননি নাজমিন।
পুলিশ জানায়, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার গোলাপগঞ্জ এলাকার নাজমিনের সঙ্গে দক্ষিণ সুরমার বদলি এলাকার সাব্বির হোসেনের বিয়ে হয় ২০১৫ সালে। বিয়ের পর থেকে তারা শাহপরান এলাকায় থাকেন। নাজমিন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্কলার্স হোম স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা ও তার স্বামী কাতার প্রবাসী।
এর আগেও একটি বিয়ে হয়েছিল নাজমিনের। সেই সংসারে তার একটি সন্তান রয়েছে।