কমলগঞ্জে বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় কলেজছাত্রকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ৭:৪৫:১৪
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : কমলগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্রকে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
আহত দোকানির নাম নিগেন্দ্র কর (২২)। তিনি কমলগঞ্জ সরকারি গণ মহাবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র এবং কমলগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম কুমড়াকাপন এলাকার নিপেন্দ্র করের ছেলে।
কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য প্রয়াত হুছন মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়ার নেতৃত্বে ‘বখাটেরা’ নিগেন্দ্র করকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটে। নিগেন্দ্র কর এখন কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
রোববার বিকেলে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে আহত নিগেন্দ্র কর জানান, স্বপন প্রায়ই তার দোকানে এসে সিগারেট নিয়ে টাকা না দিয়ে চলে যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় সহযোগীদের নিয়ে স্বপন তার (নিগেন্দ্রের) বাড়ির সামনের দোকানে এসে বাকিতে সিগারেট চায়। সিগারেট দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্বপন ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর স্বপনের নির্দেশে তার সহযোগীরা তাকে (নিগেন্দ্রকে) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে স্বপনের বাড়িতে আটকে রেখে প্রথমে কিছুটা শারীরিক নির্যাতন করে। পরে তাকে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর কমলগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আহাদুর রহমান বুলুসহ স্থানীয় লোকজন তাকে দ্রুত উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার পর তার পিঠের বিভিন্ন স্থানে ৮২টি সেলাই দিতে হয়েছে। ভয়ে তিনি এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।
কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর থেকে হামলাকারীদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ গ্রহনে তিনি দোকানির পরিবারকে সহায়তা করবেন বলেও জানান।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে স্বপন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
শব্দকর সমাজ উন্নয়ন পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি প্রতাপ শব্দকর ও সাধারণ সম্পাদক উপেন্দ্র শব্দকর এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।





