দেশে করোনায় আরও ৩৬ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮৩৫৯
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ৬:৪১:১৮
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ সময়ে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমে ৯ হাজারের নিচে এসেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা) করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৬ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ৫৬০ জন মারা গেলেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ৩৫৯ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হলেন ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ১৮৭ জন।
করোনাতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ১৭ জন। তাদের নিয়ে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৫ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৩৪ হাজার ৭৬৬টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৫ হাজার ৭৪টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫৮৮টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৮৫ লাখ ৮৫ হাজার ৩২৭টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪১ লাখ দুই হাজার ২৬১টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক চার শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে পুরুষ ২১ জন আর নারী ১৫ জন। তাদের নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৮ হাজার ২৩৫ জন আর নারী মারা গেলেন ১০ হাজার ৩২৫ জন।
মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ রোগীর মৃত্যু হয়েছে ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে বয়সীদের। এ বয়সের মধ্যে মারা গেছেন ১০ জন। এরপর আটজনের মৃত্যু হয়েছে ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ছিলেন সাতজন, ছয়জন ছিলেন ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
৩১ থেকে ৪০ বছর আর ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিলেন দুইজন করে আর ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন একজন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই রয়েছেন ২৫ জন। বাকিদের মধ্যে চট্টগ্রাম, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন দুইজন করে, খুলনা বিভাগের তিনজন আর রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের আছেন একজন করে।
মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ২৭ জন আর বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৯ জন।