সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে আবারও অভিযান, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১:২২:৫১
শোয়েব চৌধুরী, হবিগঞ্জ থেকে : হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অস্ত্র ও গোলাবারুদের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।
সোমবার ভোর থেকে এ অভিযান চালায় তারা। সিটিটিসির ডিসি আব্দুল মান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে সিটিটিসির অভিযানে ইতিমধ্যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে।
অভিযান এখনো চলছে।
সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান সিটিটিসির এই কর্মকর্তা।
হবিগঞ্জের ডিআইও (১) সৈয়দুল মোস্তাকিম জানান, চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি গহিন অরণ্যে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একদল সদস্য অবৈধ অস্ত্রের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে। ঢাকা থেকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্ব সোমবার ভোর ৩/৪টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি আর কিছু বিস্তারিত জানাতে পারেননি।
এর আগে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গত ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় সাতছড়ি উদ্যানের মূল ফটক থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে মাটির নিচ থেকে ৯টি একনলা বন্দুক, ৩টি পিস্তল ও ১৯ রাউন্ড পিস্তলের গুলি করে।
গত ২ মার্চ বিজিবি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৮টি ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার উদ্ধার করে।
এ নিয়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অষ্টমবারের মতো অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হলো।
২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় র্যাব অভিযান চালিয়ে সাতছড়ি থেকে ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, একটি বেটাগান, ছয়টি এসএলআর, একটি অটো রাইফেল, পাঁচটি মেশিনগানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে।
এরপর একই বছরের ১৬ অক্টোবর চতুর্থ দফায় গহিন অরণ্যে মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিনগান, চারটি ব্যারেল, আটটি ম্যাগাজিন, ২৫০ গুলির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আটটি বেল্ট ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়। পরে ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০ রাউন্ড, থ্রি নট থ্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়।
৫ম দফায় ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সাতছড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ১০টি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার হয়। ষষ্ঠ দফায় ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ১৩টি রকেট লঞ্চারের শেলসহ বেশ কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।
২০১৪ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া তিনটি মামলা চুনারুঘাট পুলিশ তদন্ত করে চূড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করেছে।