দেশের সঙ্গে খেলায় পাকিস্তানের পতাকা উড়িয়ে উল্লাস, যা বললেন মন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ নভেম্বর ২০২১, ১১:২২:৩১
বাংলাদেশ-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচে পাকিস্তান দলকে সমর্থনের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।তবে কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে- তা পরিষ্কার করেননি তিনি।
রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের জার্সি হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
গত ১৯ নভেম্বর থেকে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-পাকিস্তান তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ শুরু হয়েছে। প্রথম ম্যাচ থেকেই পাকিস্তানি জার্সি ও পাকিস্তানের পতাকা হাতে নিয়ে একদল তরুণ ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিচ্ছেন। কয়েকজন তরুণ গণমাধ্যমেও বক্তব্য দিয়েছেন। তারা বলেছেন, তারা বাংলাদেশি, কিন্তু পাকিস্তানকে ভালোবাসেন। একজন তরুণ আরও বিস্ময়কর বক্তব্য দিয়েছেন।তিনি বলেছেন, এখন দুই দেশ আলাদা হলেও একসময় এক ছিল এবং ভাগ হয়ে যাওয়াটাই দুর্ভাগ্যজনক।
তাদের এই বিস্ময়কর কাণ্ড ও বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে এবং ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার সময় পাকিস্তান দলকে সমর্থকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সরকারের দৃষ্টিগোচর করেছেন, আমরা আবশ্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব।’
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা অবশ্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব। এটা দুর্ভাগ্যজনক যদি কেউ করে থাকে।’
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ‘একটি টিমকে যে কেউ সাপোর্ট করতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে খেলার দিন অন্য টিমকে সাপোর্ট করা একজন দেশপ্রেমিক নাগরিকের জন্য নিঃসন্দেহে এটা কারো কাছেই শোভনীয় মনে হবে না।’
এ সময় কবি আবদুল হাকিমের বঙ্গবাণী কবিতা উদ্বৃতি করে মন্ত্রী বলেন, ‘কবি অনেক আগে বলেছে, যে সবে বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী, সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি। এমন কিছু তো থাকেই।’
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ‘দৃষ্টিতে যেহেতু আসছে, এটা সরকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা অবশ্যই নেবে। বাংলাদেশের নাগরিক কিনা, আমি ঠিক জানি না, আমরা দেখব।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন এবং স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা।