জেতার আশা জাগিয়েও পাকিস্তানের বিপক্ষে হারল বাংলাদেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ নভেম্বর ২০২১, ৮:০৪:২১
বোলিংয়ের শুরুতে যেভাবে জ্বলে উঠেছিল বাংলাদেশ, শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারল না। মুস্তাফিজুর রহমান নিজের শেষ ওভারে দিলেন ১৫। একই পথে হেঁটে ইনিংসের ১৯তম ওভারে শরিফুল ইসলামও দিলেন সমান রান। শেষ ওভারে প্রয়োজন হওয়া ২ রান ছক্কা হাঁকিয়েই নিয়ে নিলেন শাদাব খান।
জেতার আশা জাগিয়েও বাংলাদেশ হারল আরেকটি ম্যাচ। শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৪ উইকেটে জিতে নিল পাকিস্তান। সেই সঙ্গে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেন বাবর আজমরা।
বাংলাদেশের দেওয়া ১২৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৯.২ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩২ রান করে পাকিস্তান। এর আগে টস জিতে ৭ উইকেটে ১২৭ রান করে টাইগাররা।
মামুলি সংগ্রহ পেলেও বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বোলাররা। রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার-প্লে’তে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে পাকিস্তান। দলীয় ১৬ রানে প্রথম উইকেট হিসেবে ওপেনার-উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে (১১) বোল্ড করেন মুস্তাফিজ।
এরপর অধিনায়ক-ওপেনার বাবরকে (৭) বোল্ড করেন তাসকিন আহমেদ। হায়দার আলীকে (০) ফেরান মাহেদি হাসান। দলীয় ২৪ রানে চতুর্থ উইকেট হিসেবে রান আউট হন শোয়েব মালিক (০)।
সেই খাদে পড়েও ম্যাচ বের করে নিয়ে এল আত্মবিশ্বাসে ভরপুর পাকিস্তানিরা। বিপদের সময় ৫০ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়েন ফখর জামান ও খুশদিল শাহ। তাদের এই জুটি ভেঙে ফের টাইগারদের ম্যাচে ফেরান তাসকিন। ৩৬ বলে ৩৪ করে টাইগার পেসারের দ্বিতীয় শিকার হন ফখর। এরপর ৩৫ বলে ৩৪ রান করা খুশদিলকে সাজঘরে ফেরান শরিফুল।
কিন্তু বাংলাদেশকে জিততে দেননি শাদাব খান ও মোহাম্মদ নওয়াজ। মূলত বোলার হলেও দলের প্রয়োজনে ব্যাটারদের কাজটাই করলেন এই দুই স্পিনার। উপহার দিলেন দুর্দান্ত দুই ক্যামিও। ১৫ বলে ৩৬ রান করে ম্যাচ বের করে নিলেন এই দুই অপরাজিত ব্যাটার। তার মধ্যে শাদাবের অবদান ১০ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে ২১ এবং নওয়াজের ৮ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে ১৮ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশও। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমকে (১) সাজঘরে ফেরান পেসার হাসান আলী। এরপর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা আরেক ওপেনার সাইফ হাসানকে (১) তুলে নেওয়ার পর নাজমুল হোসেন শান্তকে (৭) নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।
বিপদের সময় দাঁড়াতে পারেননি মাহমুদউল্লাহও (৬)। বাংলাদেশ অধিনায়ক দুর্ভাগ্যজনকভাবে বোল্ড হন নওয়াজের বলে। বল উইকেটরক্ষক রিজওয়ানের গ্লাভসে যাওয়ার সময় সামান্য স্টাম্পে লাগলে বেল পড়ে যায়। শুরুতে বুঝতে না পারলেও রিভিউ দেখে আউট দেন আম্পায়ার।
এরপর আফিফ হোসেনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করে বাংলাদেশ। ৩৪ বলে ২ চার ও ২ ছয়ে ৩৬ রান করে তিনি শাদাবের বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানও চেষ্টা করেন দলের রান বাড়াতে। হাসান আলীর দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ২২ বলে ২ ছয়ে ২৮ রান করেন তিনি। পাকিস্তানি পেসার নিজের তৃতীয় শিকার বানান আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে (২)। ৪ ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন হাসান আলী।