দুই মাস পর টুনির মরদেহ পেল পরিবার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ নভেম্বর ২০২১, ৫:৫২:৫৮
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : পরিবারের অভাব অনটন দূর করতে তিন ছেলেমেয়েকে রেখে কাজের উদ্দেশে গত মার্চে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন টুনি বেগম। কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে সেখান থেকে তার মৃত্যুর খবর পান পরিবারের সদস্যরা। দীর্ঘ দুই মাস পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে শনিবার রাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে টুনি বেগমের মরদেহ বুঝে পায় তার পরিবার।
মারা যাওয়া টুনি বেগম হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছের মেয়ে। স্বজনরা শনিবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লাশ গ্রহণ করে রোববার দুপুরে উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামে দাফন করেছে।
টুনি বেগমের ভাই হান্নান মিয়া জানান, পার্শ্ববর্তী বিজয়নগর উপজেলার ভাগদিয়া গ্রামের হাছান মিয়া ও দুলাল মিয়ার মাধ্যমে এ বছরের ১৮ মার্চ তিন লাখ টাকার বিনিময়ে কাজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন টুনি। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর টুনি বেগমের উপর পাশবিক নির্যাতন শুরু হয়। টুনির সঙ্গে থাকা সৌদি প্রবাসী এক নারী গত ১২ সেপ্টেম্বর তাদেরকে ফোন করে জানান, টুনিকে হত্যা করা হয়েছে।
টুনির পরিবারের অভিযোগ, বিজয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর গ্রামের হেলাল মিয়া এবং জালুয়াবাদ গ্রামের সৌদি প্রবাসী নুর মিয়া ও ময়মনসিংহ জেলার গফুরগাঁও গ্রামের কামরুল মিয়া সৌদিতে নিয়ে টুনি বেগমকে পাশবিক নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে।
টুনির বোন সায়েরা বেগম জানান, টুনি মারা যাওয়ার দুই মাস পর পর অনেক ঘুরাঘুরি করে বাংলাদেশ দুতাবাসের সহযোগিতায় সৌদি আরব থেকে গত শনিবার রাতে বোনের লাশ ফেরত পেয়েছেন।
তার দাবি, টুনিকে হত্যা করা হয়েছে। যারা টুনিকে হত্যা করেছে তাদেরকে যেন শাস্তির আওতায় আনা হয়। এ ব্যাপারে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান।
মাধবপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, রোববার দুপুরে রাজেন্দ্রপুর পারিবারিক করবস্থানে টুনি বেগমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। যেহেতু ঘটনাস্থল সৌদি আরব তাই টুনিকে হত্যা করা হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে ওই দেশের সরকার আইনগত ব্যবস্থা নেবে। এ ব্যাপারে তাদের কিছু করার নেই।