দেশে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের করোনা শনাক্তের হার ২ শতাংশের নিচে
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ অক্টোবর ২০২১, ৬:১০:২১
দেশে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের করোনার দৈনিক শনাক্তের হার দুই শতাংশের নিচে এসেছে। এসময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (১৯ অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে ২০ অক্টোবর সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনাতে রোগী শনাক্তের হার এক দশমিক ৮০ শতাংশ। গতকাল দৈনিক শনাক্তের হার দুই দশমিক ২০ শতাংশ বলে জানিয়েছিল অধিদফতর।
এর আগে গত শনিবার চলতি বছরে প্রথম দিনের মতো দৈনিক শনাক্তের হার নেমে আসে দুই শতাংশের নিচে। তারপর থেকে টানা তিনদিন দৈনিক রোগী শনাক্তের হার দুই শতাংশের নিচে থাকলেও গতকাল জানানো হয়, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় সেটা দুই শতাংশের ওপরে উঠে যায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার কমার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে শনাক্ত রোগী এবং মৃত্যুর সংখ্যাও।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩৬৮ জন, যা গতকাল ছিল ৪৬৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ছয়জন, গতকাল সাতজনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
স্বাস্থ্যঅধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া ৩৬৮ জনকে নিয়ে দেশে এখনপর্যন্ত সরকারি হিসেবে করোনাতে মোট শনাক্ত হলেন ১৫ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৪ জন। আরমারা যাওয়া ছয়জনকে নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২৭ হাজার ৭৯১ জন মারা গেলেন বলেজানাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিফতর।
করোনাতে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৮১ জন, তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৫ লাখ ২৯ হাজার ৫৪৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ১৯ হাজার ৯৯৮টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০ হাজার ৩৯৩টি।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি এক লাখ ৫৫ হাজার ৪৩৫টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৭৪ লাখ ২২ হাজার ৮৮৫টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২৭ লাখ ৩২ হাজার ৫৫০টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ছয়জনের মধ্যে পুরুষ চারজন আর নারী দুইজন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ৮০২ জন আর নারী মারা গেলেন ৯ হাজার ৯৮৯ জন। তাদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে রয়েছেন তিনজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন আর ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন। আর তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের আছেন তিনজন, রাজশাহী বিভাগের দুইজন আর খুলনার বিভাগে একজন।
অধিদফতর জানাচ্ছে, মারা যাওয়া ছয়জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন পাঁচজন আর বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে একজনের।