‘অসৎ শ্রম আচরণ শোভন কর্মপরিবেশের বড় বাধা’
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ অক্টোবর ২০২১, ১০:৫৫:১০
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী বলেছেন, অসৎ শ্রম আচরণ শোভন কর্মপরিবেশের জন্য বড় বাধা। আদর্শ পরিচালনা পদ্ধতির চর্চা মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক মজবুত করে। সেই সঙ্গে শিল্পের উৎপাদনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) হবিগঞ্জের বাহুবলে তিন দিনব্যাপী ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ফর আনফেয়ার লেবার প্র্যাক্টিস অ্যান্ড অ্যান্টি-ইউনিয়ন ডিসক্রিমিনিশন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দি প্যালেস রিসোর্টে আইএলও-এর সহযোগিতায় শ্রম অধিদফতর এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
শ্রম সচিব বলেন, আইএলও কনভেনশন এবং বাংলাদেশ শ্রম আইন ও শ্রম বিধিমালা অনুযায়ী ট্রেড ইউনিয়ন গঠন শ্রমিকের অধিকার। অ্যান্টি-ট্রেড ইউনিয়ন মনোভাব থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী নিরাপদ এবং শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা, দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি আমাদের অঙ্গীকার। সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মসংস্থান অধিদফতর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ চূড়ান্ত পর্যায়ে।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের যথাযথ মজুরি, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও তাদের মৌলিক এবং ন্যায্য অধিকারগুলোর প্রাপ্তি নিশ্চিত এবং বিরোধ নিষ্পত্তিতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী কর্মকর্তাগণ প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে শ্রমমান উন্নয়ন এবং শ্রমিকের কল্যাণে কাজে লাগাবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন সচিব।
জবরদস্তি শ্রম সম্পর্কিত আইএলও কনভেনশন, ১৯৩০’ এর প্রটোকল ২৯ অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই বছরের মধ্যে বাংলাদেশ চাকরির সর্বনিম্ন বয়স সংক্রান্ত আইএলও কনভেনশন-১৩৮ অনুস্বাক্ষর করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক গৌতম কুমারের সভাপতিত্বে আইএলও বাংলাদেশের চিফ টেকনিক্যাল এডভাইজার নিরান রামজুথান এবং শ্রম অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. আব্দুল লতিফ খান বক্তব্য রাখেন। প্রশিক্ষণে শ্রম অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও শ্রীমঙ্গল আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক থেকে সহকারী পরিচালক পর্যায়ের ৩০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর বা আদর্শ পরিচালনা পদ্ধতি হচ্ছে কোনও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ধাপে ধাপে প্রকাশিত নির্দেশাবলী, যা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রতিদিনের কাজ-কর্ম করতে সহায়ক। তার মূল লক্ষ্য থাকে নির্দিষ্ট গুণসম্পন্ন উৎপাদন, পরস্পরের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি দূরীকরণ এবং শিল্প বিভাগ বা শিল্প জগতের নিয়মাবলী অনুসরণ।
পরে শ্রম সচিব বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের মৌলভীবাজারের বেশকিছু শ্রমিকের হাতে চিকিৎসা সহায়তার চেক তুলে দেন।