রফিকুল হক ‘দাদু ভাই’ আর নেই
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ অক্টোবর ২০২১, ২:৫৫:২২
‘দাদু ভাই’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া শিশু সাহিত্যিক, নাট্যকার ও সাংবাদিক রফিকুল হক মারা গেছেন। রবিবার বেলা ১১টার দিকে তিনি মারা যান বলে তার পরিবারসূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
ছড়াকার রফিকুল হক সবশেষ দৈনিক যুগান্তর ফিচার এডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার এক সহকর্মী জানিয়েছেন, তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। তার মধ্যে গত বছর পরপর দু’বার করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাকে। সুস্থ হয়ে কর্মস্থলে যোগ দিলেও পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মাস ছয়েক আগে পুরোপুরি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন।
১৯৩৭ সালের ৮ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া রফিকুল হকের গ্রামের বাড়ি রংপুরের কামালকাচনায়। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। বড় ছেলে দেশের বাইরে থাকেন।
এদিকে একুশে পদকপ্রাপ্ত এই ছড়াকারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বর্ষীয়ান এই সাহিত্যিক ও সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সাহিত্যাঙ্গণে। শিশুসাহিত্যিক ও কবি আসলাম সানী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দাদু ভাই আমাদের কালের সাক্ষী, ইতিহাসের সাক্ষী। তিনি আমাদের অভিভাবক ছিলেন। তার হাতের উপর শিশুসাহিত্য বিকশিত হয়েছে।
লেখালেখির জগতে তিনি অনেকেকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, যারা আজ তারকা খ্যাতি লাভ করেছেন কিন্তু আজ আমাদের প্রধান তারকার পতন ঘটলো। তার মৃত্যুতে আমি শোকে স্তব্ধ। তার আত্মার শান্তি কামনা করি।
খালেক বিন জয়েনউদদীন বলেন, রফিকুল হক দাদুভাই আমাদের গুরু ছিলেন। তিনি আমাদের খুব স্নেহ করতেন। তার মৃত্যু আমাকে মুষড়ে দিয়েছে। বাংলা একাডেমি পুরস্কার তিনি পেলেও আমরা তাকে যথার্থ মূল্যায়ন করতে পারিনি। অথচ, তার সাহিত্য আজীবন পাঠকের মনে-মননে বিরাজ করবে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রফিকুল হককে বাদ আছর দৈনিক যুগান্তরের কার্যালয় এবং মাগরিবের পর বাসাবো জামে মসজিদে দুই দফা জানাজার পর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।