দেশে দ্বিতীয় দিনের মতো শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৯:২৫:১৬
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বেড়েছে। তবে কমেছে দৈনিক শনাক্ত। আজও দৈনিক শনাক্তের হার রয়েছে পাঁচ শতাংশের নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৬ জন, যা গতকাল ছিল ২৬ জন।
আজ বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত করোনা বিষয়ক বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৩৭৬ জন। গতকাল (মঙ্গলবার) এক হাজার ৫৬২ জনের শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার চার দশমিক ৭৯ শতাংশ। গতকাল ছিল চার দশমিক ৬৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ জনকে নিয়ে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ২৭ হাজার ৩১৩ জন, আর এক হাজার ৩৭৬ জনকে নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ১৭৬ জন সরকারি হিসাবে শনাক্ত হলেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৪২৭ জন। এদের নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৫ লাখ ছয় হাজার ১৩৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার চার দশমিক ৭৯ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২৮ হাজার ৯৮৬টি, আর পরীক্ষা হয়েছে ২৮ হাজার ৭৩৬টি।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯৬ লাখ ২৭ হাজার ১৫০টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৭০ লাখ ৩০ হাজার ২৩১টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৪ লাখ ৯৬ হাজার ৯১৯টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে পুরুষ ১৭ জন আর নারী ১৯ জন।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ৫৫৬ জন আর নারী ৯ হাজার ৭৫৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিন জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন আর ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন।
যে ৩৬ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জন, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দুই জন করে আর রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন একজন করে।
৩৬ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৩০ জন, বেসরকারি হাসপাতালে পাঁচ জন আর বাড়িতে একজন।