দেশে সাড়ে তিন মাস পর সর্বনিম্ন শনাক্ত
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:০৫:০৮
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ১৯০ জন। এর আগে গত ২৯ মে এক হাজার ৪৩ জন শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। সে হিসাবে সাড়ে তিন মাসের বেশি সময় পর করোনায় সর্বনিম্ন রোগী শনাক্ত দেখলো দেশ।
এছাড়া একদিনে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এবং শনাক্তের হারও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৫ জন, যা গতকাল ছিল ৩৮ জন। একই সময়ে রোগী শনাক্তের হার ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ, যা কিনা গতকাল ছিল ছয় দশমিক ৪১ শতাংশ।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া এক হাজার ১৯০ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হলেন ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ জন। একই সময়ে মারা যাওয়া ৩৫ জনকে নিয়ে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেলেন ২৭ হাজার ১৮২ জন।
আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬৪৫ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫৪ জন সুস্থ হলেন বলে জানাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
একদিনে করোনায় রোগী শনাক্তের হার ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২৩ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৬ শতাংশ।
একই সময়ে করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ১৯ হাজার ৮৯৬টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৯ হাজার ৬৬৮টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯৪ লাখ ১৩ হাজার ৩৩টি, এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৬৯ লাখ ৫০ হাজার ৪৪৫টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২৪ লাখ ৬২ হাজার ৫৮৮টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন আর নারী ১৯ জন। দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ৪৯০ জন আর নারী মারা গেলেন নয় হাজার ৬৯২ জন।
তাদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে আট জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন আর ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছে একজন।
মারা যাওয়া ৩৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ছয় জন, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের আছেন তিন জন করে, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের আছেন একজন করে আর সিলেট বিভাগের আছেন দুই জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, মারা যাওয়া ৩৫ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেলেন ২৭ জন আর বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন আট জন।