দেশে প্রায় ৪ মাস পর করোনা শনাক্ত ২ হাজারের নিচে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৮:৪৩:৪৩
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৭৪৩ জন। এর আগে চলতি বছরের ১২ জুন একদিনে এক হাজার ৬৩৭ জনের শনাক্তের খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। সে হিসাবে প্রায় চার মাস পর করোনাতে দৈনিক শনাক্ত দুই হাজারের নিচে নেমে এলো।
সেইসঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬১ জন। এর আগে চলতি বছরের ১৯ জুন আজকের চেয়ে কম, ৬৭ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল অধিদফতর।
একদিনে নতুন শনাক্ত হওয়া এক হাজার ৭৪৩ জনকে নিয়ে দেশে করোনাতে সরকারি হিসাবে মোট শনাক্ত হলেন ১৫ লাখ ১২ হাজার ২৬ জন। একই সময়ে মারা যাওয়া ৬১ জনকে নিয়ে দেশে করোনাতে সরকারি হিসাবে মোট মারা গেলেন ২৬ হাজার ৪৯৩ জন।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, একদিনে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৪২১ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে সরকারি হিসাবে মোট সুস্থ হলেন ১৪ লাখ ৪৬ হাজার তিনজন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ১৭ হাজার ৪৫৪টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৫০টি।
দেশে এখন পর্যন্ত ৯০ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৬৬ লাখ ৯৪ হাজার ১৬৩টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬৮৯টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার নয় দশমিক ৮২ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৫ শতাংশ।
একদিনে মারা যাওয়া ৬১ জনের মধ্যে পুরুষ ৩০ জন আর নারী ৩১ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ১৪৮ জন আর নারী মারা গেলেন নয় হাজার ৩৪৫ জন।
তাদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে রয়েছেন দুইজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছয়জন আর ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন দুইজন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানাচ্ছে, মারা যাওয়া ৬১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৩২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৩ জন, রাজশাহী বিভাগের চারজন, খুলনা বিভাগের ছয়জন, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের দুইজন করে আর সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন একজন করে।
মারা যাওয়া ৬১ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৫৩ জন আর বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন আটজন।