সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচন কাল, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৮:৫২:২৪
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনকে ঘিরে ভোটের মাঠে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের এখন সরব উপস্থিতি।
জেলার দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসন। আসনটিতে মোট ভোটার তিন লাখ ৫২ হাজার ও ভোটকেন্দ্র ১৪৯টি।
এদিকে, এই উপনির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এই আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এই উপ-নির্বাচনে মাঠে থাকা প্রার্থী চার জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান (নৌকা), জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান (লাঙ্গল), নির্বাচনে নেমে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী (মোটরগাড়ি) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া (ডাব)।
সিলেট জেলার তিন উপজেলা দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ নিয়ে সিলেট-৩ আসন গঠিত। গত ১১ মার্চ করোনায় এ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হয় ১৪ জুলাই। পরে করোনা পরিস্থিতির কারণে দুই সপ্তাহ পিছিয়ে ভোটের তারিখ নির্ধারণ হয় ২৮ জুলাই। কিন্তু করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশনা আরও এক দফা ভোট পেছানো হয়। ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা থাকায় ৪ সেপ্টেম্বর ভোটের তারিখ নির্ধারিত হয়।
উপ-নির্বাচনে প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি উপজেলায় একজন করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করবেন।
জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা প্রতিটি উপজেলায় একজন করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে দায়িত্ব দিয়েছি। তারা নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করবেন।’
সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জানান, উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন কড়া নিরাপত্তা থাকবে দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলায়। ভোটকেন্দ্রে থাকবেন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭-১৮ জন সদস্য। আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবেন ১৮ থেকে ১৯ জন সদস্য। তাদের মধ্যে পুলিশ আর অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের কাছে অস্ত্র থাকবে।
তিনি আরও জানান, পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত মোবাইল ফোর্স ২১টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ১২টি, র্যাবের ১২টি টিম ও ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে আগামী ২ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বিজিবির সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন যেকোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবিলায়। ভোটগ্রহণের দিন নির্বাচনি আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত রাখা হবে ২১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
অন্যদিকে, রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের অভ্যন্তরে কিংবা ভোটগণনা কক্ষে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন তারা।