ছয় মাস আগে ক্যাপ্টেন নওশাদের পাইলট বাবাও মারা যান ভারতে
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ আগস্ট ২০২১, ১১:২৫:২৫
ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম। ২০০২ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট হিসেবে যোগদান করেন। গত শুক্রবার মধ্য আকাশে হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করেন ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম, সিভিআর হার্ট অ্যাটাক হয় তার। তিন দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অবশেষে সোমবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। প্রতিবেশী দেশ ভারতে শেষ নিঃশ্বাস ফেলেছেন তিনি। শুধু তিনি একাই নন, ছয় মাস আগে ক্যাপ্টেন নওশাদের বাবাও ভারতে মারা যান।
জানা গেছে, ক্যাপ্টেন নওশাদের বাবা আব্দুল কাইয়ুমও একসময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন ছিলেন। তিনি ডিসি-১০ উড়োজাহাজের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় ‘কোরিয়ান এয়ার’ এবং ‘সৌদি এয়ালাইন্সেও’ দায়িত্ব পালন করেন সিনিয়র এই পাইলট।
বাবার পথ অনুসরণ করেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উড়ে বেড়িয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম। চলে যাওয়ার ক্ষেত্রেও যেনো বাবাকেই অনুসরণ করলেন তিনি।
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলটস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান জানান, ছয় মাস আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে নওশাদের বাবা আব্দুল কাইয়ুম মারা যান ভারতের কলকাতায়। আর সোমবার সকালে ক্যাপ্টেন নওশাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে।
গত শুক্রবার নওশাদ ও তার ফার্স্ট অফিসারের কারণে জীবন রক্ষা পেয়েছিলেন ওমান থেকে ঢাকার উদ্দেশে আসা ১২৪ যাত্রী। তবে এটি প্রথম নয়। পাঁচ বছর আগে এভাবেই আরো ১৪৯ যাত্রী আর সাত ক্রুর জীবন বাঁচিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ। এ ঘটনার পর ২০১৭ সালে ক্যাপ্টেন নওশাদকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রশংসাপত্র পাঠায় আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ক্যাপ্টেন রন অ্যাবেল।
২৭ আগস্ট ওমানের মাস্কাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিজি-২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ বোধ করেন। পরবর্তীতে বিমানটিকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। দ্রুত ক্যাপ্টেন নওশাদকে নাগপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
রোববার রাতে নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে যান ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুমের দুই বোন। তারা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে ক্যাপ্টেন নওশাদের ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা চালু রাখার পক্ষে মত দেন। তবে শেষ চেষ্টা ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন তিনি।