দেশে মৃত্যু ছাড়ালো ২৬ হাজার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ আগস্ট ২০২১, ৮:৫১:১৫
গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনায় নতুন শনাক্ত ও মৃত্যু বেড়েছে। তবে, আজ রবিবার দ্বিতীয় দিনের মতো করোনায় মৃত্যু ১০০-এর নিচে রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে মৃত্যু ২৬ হাজার ছাড়িয়ে গেলো।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৮৯ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। যা কিনা গতকাল ছিল ৮০ জন। সেই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৯৪৮ জন। গতকাল তিন হাজার ৪৩৬ জনের সংক্রমণের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৮৯ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় সরকারি হিসাবে মোট মারা গেলেন ২৬ হাজার ১৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হওয়া তিন হাজার ৯৪৮ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় সরকারি হিসাবে মোট শনাক্ত হলেন ১৪ লাখ ৯৩ হাজার ৫৩৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে ছয় হাজার ৪৬৬ জন সুস্থ হয়েছেন জানিয়ে অধিদফতর জানায়, দেশে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হলেন মোট ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৬৯৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২৭ হাজার ১৭৭টি আর পরীক্ষা হয়েছে ২৭ হাজার ৯২১টি। দেশে এখন পর্যন্ত মোট ৮৮ লাখ ৬৯ হাজার ৩৯৩টি করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে জানিয়ে অধিদফতর জানাচ্ছে, এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৬৫ লাখ ৭১ হাজার ৪০৭টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২২ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮৬টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৮৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৪১ জন আর নারী ৪৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেলেন মোট ১৬ হাজার ৮৯৮ জন আর নারী নয় হাজার ১১৭ জন।
এদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ২৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন আর ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছে তিন জন।
মারা যাওয়া ৮৯ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ২৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জন, রাজশাহী বিভাগের সাত জন, খুলনা বিভাগের নয় জন, বরিশাল বিভাগের আট জন, সিলেট বিভাগের ১০ জন, রংপুর বিভাগের পাঁচ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের দুই জন।
৮৯ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৬৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১৮ জন আর বাড়িতে দুই জন।