দেশে করোনায় ২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ১১৭ জনের মৃত্যু
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ আগস্ট ২০২১, ৮:১৮:৫৯
দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৫৩৮তম দিনে ১১৭ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৮৪৬ জন। গতকাল মৃত্যু সংখ্যা ১০২ জন ছিল।
চলতি বছরের গত ২৭ জুন ১১৯ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়।এদিন শনাক্ত হয়েছেন চার হাজার ৯৬৬ জন রোগী। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২৭ হাজার ৫৭৮টি পরীক্ষায় তিন হাজার ৫২৫ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৬৫ লাখ ৩২ হাজার ৯২৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২২ লাখ ৮৩ হাজার ৪১৭ টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ৩৪৩টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৫৩ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ছয় হাজার ৪৮৫ জনসহ মোট ১৪ লাখ চার হাজার ৩৭০ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১১৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৫৬ জন পুরুষ ও ৬১ জন নারী। তাদের মধ্যে ১১০ জনের হাসপাতালে (সরকারিতে ৯২ জন, বেসরকারিতে ১৮ জন) ও বাড়িতে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৫ হাজার ৮৪৬ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৪ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২২ হাজার ২৪ জন, যার শতকরা হার ৮৫ দশমিক ২১ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তিন হাজার ৪৩ জন, যার শতকরা হার ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। বাসায় ৭৪৬ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৮৯। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৩ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৮১৬ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৫ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং নয় হাজার ৩০ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১১৭ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশ বয়সী একজন, এগারো থেকে বিশ বয়সী একজন, একুশ থেকে ত্রিশ বছর বয়সী তিনজন, ত্রিশোর্ধ্ব নয়জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৬ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৯ জন, ষাটোর্ধ্ব ৩৮ জন, সত্তরোর্ধ্ব ১৬ জন, আশি উর্ধ্ব ১১ জন ও নব্বই ঊর্ধ্ব তিনজন।
আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৪০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭ জন, রাজশাহী বিভাগে চারজন, খুলনা বিভাগে ১১ জন, বরিশাল বিভাগে ছয়জন, সিলেট বিভাগে ১০ জন, রংপুর বিভাগে পাঁচজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে চারজন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২২২টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২১ কোটি ৫৬ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৪ লাখ ৯১ হাজার মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৯ কোটি ২৮ লাখের বেশি।