বিয়ানীবাজারে করোনায় নারীর মৃত্যু
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ আগস্ট ২০২১, ৯:৪৫:৩৫
বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি : সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় করোনার সংক্রমনের প্রথম ঢেউয়ের মতো সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউও ভয়াবহভাবে চলছে। উপজেলাব্যাপী প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। একইসাথে বাড়ছে আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানির ঘটনাও। এ উপজেলায় আরও একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে উপজেলায় প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১ জনে।
জানা গেছে, নিহত রোগী একজন নারী। নাম হাসিনা বেগম (৫৫)। বাড়ি উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের বালিঙ্গা গ্রামে। তিনি গত দিন বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ইউনিটের আইসোলেশন ওয়য়ার্ডে ভর্তি ছিলেন।
শনিবার সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে দ্রুত তাকে রেফার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে ভর্তির পূর্বেই তিনি মারা যান। মৃতের স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানাজার নামাজ ও দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সের নমুনা বুথে র্যাপিড এন্টিজেন্ট টেস্টে তার করোনার ফল পজিটিভ শনাক্ত হয়।
বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবু ইসহাক আজাদ জানান, পঞ্চাশোর্ধ্ব এই নারীর শারীরিক অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। ভর্তির সময়ই তার শারীরিক অবস্থা বিচেনায় আমরা আইসোলেশন ইউনিটে রেখে যথাসাধ্য সাপোর্ট দিয়েছি। পরে তিনদিন পর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় তার স্বজনদেরকে দ্রæত ওসমানীতে নিয়ে যাবার পরামর্শ দিই। কিন্তু সেখানে নিয়ে যাবার পর পরই তিনি মারা যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বিয়ানীবাজারে এ পর্যৗল্প করোনায় প্রমাণিত রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ১২৩৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৬১জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫৮৮জন।
বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী বলেন, করোনার বিস্তার রোধ করতে হলে উপজেলাবাসীকে সচেতন ও আরো সতর্ক হতে হবে। বিশেষ করে বাইরে বের হলে মাস্ক পড়ার পাশাপাশি সামাজিক দুরত্ব মেনে চলতে হবে। কিন্তু সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনার বিস্তাার রোধ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
তিনি বলেন, প্রতিদিন পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, একইসাথে প্রাণহানিও। এ অবস্থায় সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে।