দেশে করোনায় শনাক্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ছাড়াল
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ আগস্ট ২০২১, ৭:৪৫:৩২
কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৫২৩তম দিনে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ছাড়িয়েছে। এদিন ১৯৭ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৮১০ জন। এর আগে ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়।
এই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ৪৬৫ জন রোগী। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৪০ হাজার ৬৪১টি নমুনা পরীক্ষায় আট হাজার ৪৬৫ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৬১ লাখ ৬৮ হাজার ৮৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২১ লাখ ৭৩ হাজার ৩৪৪টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৩ লাখ ৪২ হাজার ১৯০টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ লাখ পাঁচ হাজার ৩৩৩ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৪৫৭ জনসহ মোট ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৫২২ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৬২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৯৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ১০৮ জন পুরুষ ও ৮৯ জন নারী। তাদের মধ্যে ২১২ জনের হাসপাতালে (সরকারিতে ১৭৮ জন, বেসরকারিতে ৩৪ জন) ও বাড়িতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৩ হাজার ৬১৩ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬৯ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২০ হাজার ২৮২ জন, যার শতকরা হার ৮৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন দুই হাজার ৬১৮ জন, যার শতকরা হার ১১ দশমিক ০৯ শতাংশ। বাসায় ৬৮৪ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৯০। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ২৯ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭৩৩ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৬ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং আট হাজার ৭৭ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৩ দশমিক ৯২ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৯৭ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশ বছর বয়সী একজন, এগারো থেকে বিশ বয়সী একজন, একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী সাতজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৭ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৩ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৬২ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৪১ জন, আশি উর্ধ্ব ১৮ জন, নব্বই উর্ধ্ব একজন ও এক’শ ঊর্ধ্ব একজন।
আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৭৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৩ জন, রাজশাহী বিভাগে আট জন, খুলনা বিভাগে ১৮ জন, বরিশাল বিভাগে ১১ জন, সিলেট বিভাগে আটজন, রংপুর বিভাগে নয়জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১২ জন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২০ কোটি ৬৪ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৩ লাখ ৫২ হাজার মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৮ কোটি ৫২ লাখের বেশি।