অনলাইনে বোমা তৈরির প্রশিক্ষক ফোরকান জাহিদ গ্রেপ্তার
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ আগস্ট ২০২১, ২:৪৪:৪৭
ন্যাশনাল ডেস্ক : নব্য জেএমবির সদস্য ও অনলাইনে বোমা তৈরির প্রশিক্ষক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদ হাসান ওরফে বোমা জাহিদকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। জাহিদ কাতারপ্রবাসী ফোরকান, রাজু বা ফোরকান ভাই নামেও পরিচিত।
বুধবার (১১ আগস্ট) দুপুরে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিটিটিসির প্রধান পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান। এর আগে মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) রাতে রাজধানীর কাফরুল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান জানান, অনলাইনে বিভিন্ন সিক্রেট অ্যাপ ব্যবহার করে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিতেন জাহিদ (ফোরকান)।
তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে ১০-১২টি পুলিশ বক্সে বোমা হামলার চেষ্টা চালায় নব্য জেএমবির সদস্যরা। বোমাগুলো ছিল একই প্যাটার্নের। যারা বোমগুলো বানায় তাদের বিভিন্ন সময় অভিযানে গ্রেফতার করা হয়। এরপর নতুন করে আবার মেলে একই প্যাটার্নের বোমার খোঁজ। ফলে তদন্তে নামে সিটিটিসি।
তদন্তের একপর্যায়ে উঠে আসে নব্য জেএমবির সদস্য জাহিদের নাম। তিনিই অনলাইনে বোমা বানানো শেখান বলে জানান সিটিটিসির প্রধান।
সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জাহিদ বেশকিছু দিন ধরে পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি গ্রেফতার হন তার দুই সহযোগী শফিকুর রহমান হৃদয় ওরফে বাইতুল্লাহ মেহসুদ ওরফে ক্যাপ্টেন খাত্তাব ও মো. খালিদ হাসান ভূঁইয়া ওরফে আফনান।
সিটিটিসির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, জাহিদের জন্ম ১৯৯৪ সালের ১২ অক্টোবর। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটায়। তিনি লেমুয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০০৯ সালে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পান। এরপর ২০১১ সালে পাথরঘাটা সৈয়দ ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পান। ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে ভর্তি হন তিনি। স্নাতক সম্পন্ন করলেও মাস্টার্স শেষ করেননি।
সিসিটিসির তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৬ সালে হলি আর্টিসান হামলার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় নিষ্ক্রিয় হয় দেশীয় জঙ্গি সংগঠনগুলো। এর ঠিক তিন বছর পর ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন পুলিশ বক্সে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস ব্যবহার করে হামলা ও হামলাচেষ্টার মাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় আসে নব্য জেএমবির জঙ্গিরা।