যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ব্রিটিশ রাজপুত্র অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ আগস্ট ২০২১, ৫:৫৮:২৬
ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের দ্বিতীয় পুত্র প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সঙ্গে যৌনকর্ম করার জন্য ১৭ বছর বয়সী ভার্জিনিয়া জোফ্রেকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসা হয়েছিল। এ ঘটনায় সম্প্রতি নিপীড়নের অভিযোগে নিউইয়র্কে মামলা দায়ের করেছেন ওই নারী। খবর বিবিসি।
ভার্জিনিয়া দাবি করেছেন, লন্ডন ও নিউইয়র্কে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর দ্বারা তিনি যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের বিরুদ্ধেও যৌন নিপীড়নের একজন অভিযোগকারী ভার্জিনিয়া জোফ্রে। জেফরির সঙ্গে অ্যান্ড্রুর বন্ধুত্ব ছিল।
তবে আর্জিনিয়ার অভিযোগ বরাবরই নাকচ করে আসছেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু।
নিউইয়র্কের শিশু নির্যাতন বিরোধী আইনের আওতায় ওই অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। এই আইনে নিপীড়নকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের অধিকারের আওতা বাড়ানো হয়েছে।
ভার্জিনিয়ার অভিযোগের বিষয়ে ২০১৯ সালে প্রিন্স অ্যান্ড্রু মন্তব্য বলেছিলেন, কখনো এ রকম কিছু ঘটেনি। এমনকি তাদের পরিচয়ের বিষয়টিও অস্বীকার করেন।
ভার্জিনিয়ার অভিযোগ বলা হয়, লন্ডনে জেফরি এপস্টেইনের একজন সহযোগী গিলেইন ম্যাক্সওয়েলের বাড়িতে তাকে যৌন নিপীড়ন করেছেন ডিউক। পরবর্তীতে ম্যানহাটনে জেফরির বাড়িতে ইউএস ভার্জিন আইল্যান্ডের লিটল সেন্ট জেমসেও নিপীড়ন করেন।
জেফরির সঙ্গে মিলে চারজন অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে নিপীড়ন করার ফেডারেল অভিযোগের ব্যাপারে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন গিলেইন। নভেম্বরে তার বিরুদ্ধে বিচার শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
নিউইয়র্কের শিশু নির্যাতনবিরোধী আইনকে গত বছর গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো যুগান্তকারী বলে বর্ণনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এর ফলে যারা অপ্রাপ্ত বয়সে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, যেসব অপরাধ জানা যায়নি বা বিচার হয়নি সেগুলোর বিচার প্রাপ্তির পথ তৈরি হয়েছে।
২০১৯ সালে আইনটি জারি করা হয়। এই আইন অনুযায়ী, সময় উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার কারণে এর আগে যেসব অভিযোগ আনা যায়নি, সেসব অভিযোগ দায়ের করার জন্য এক বছর সময় দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সেই সময়সীমা এই বছরের ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।