বিশ্বনাথে সাবেক চেয়ারম্যান আবারক আলী গ্রেপ্তার
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ আগস্ট ২০২১, ১০:০১:১৯
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথে হেফাজতের হরতালে আমতৈল পিছেরমূখে মারামারির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায়ই গ্রেপ্তার হতে হলো দৌলতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আবারক আলীকে (৬০)।
রোববার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিঙ্গেরকাছ পাবলিক বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবারক আলী সিঙ্গেরকাছ পশ্চিমগাঁওয়ের মৃত হাজী রাশিদ আলীর ছেলে এবং ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিংবডির সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি।
এর আগে গত রোববার (০১ আগস্ট) ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা নেই, ঘটনাস্থলেও তিনি ছিলেন না এমন অভিযোগ এনে সিলেট রেঞ্জর ডিআইজি, পুলিশ সুপার ও ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরাবরে স্মারকলিপি দেন আবারক আলী।
স্মারকলিপিতে তিনি উল্লেখ করেন মামলায় ৪১ নং আসামি করা হয়েছে জেনে তিনি বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মামলার বাদী ধলিপাড়ার নাজমুল ইসলাম শিপুও তাকে স্থানীয় মুরব্বীদের সামনে প্রকাশ্যে জানিয়েছেন তিনি তাকে আসামি করেননি এবং ওই ভিডিও চিত্র ও তার কাছে রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি তার। অভিযোগ দেওয়ার সাত দিনের মাথায় ওই মামলাতেই গ্রেপ্তার হতে হয়েছে তাকে।
আবারক আলীর স্ত্রী আয়তেরা বেগমের (৫০) দাবি, বিনা দোষে তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার স্বামী মারামারির দিন সিঙ্গেরকাছ বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলেন। শত্রুতা মিটাতে স্থানীয়রা তার স্বামীকে ওই মামলায় আসামি করেছেন। আর এসকল বিষয়াদি উল্লেখ করে ওই মামলা ও হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে গত রোববার (০১ আগস্ট) তার স্বামী প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট আবেদনও জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান বলেন, হেফাজতের ডাকা হরতাল চলাকালে আমতৈল পিছেরমূখে মারামারির মামলায়ই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, চলতি বছরের ২৮মার্চ হেফাজতের ডাকা হরতাল চলাকালে ট্রাক আটকানো নিয়ে সিলেটের বিশ্বনাথ-লামাকাজি সড়কের আমতৈল পিছেরমূখে ‘আমতৈল ও ধলিপাড়া’ গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দুই গ্রামের ৩০ জনসহ ৫পুলিশ সদস্যও আহত হন। এ ঘটনার প্রায় একমাস পর গত ২৯ এপ্রিল ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন ধলিপাাড়ার নাজমুল ইসলাম শিপু (মামলা নং ২৯)। মামলায় আরও ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।