দেশে কম শনাক্তের দিনে করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ আগস্ট ২০২১, ৭:২৮:৫৬
কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৫১৭তম দিনে দেশে ২৬১ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৪১১ জন। এই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ১৩৬ জন রোগী।
এর আগে গতকাল ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যান, আর ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৩১ হাজার ৭১৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৮ হাজার ১৩৬ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
তবে, শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ৪৪৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২১ লাখ ১৯ হাজার ৯৫৮টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৮০ লাখ ৭৫ হাজার ৪০৭টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯৬ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৩৮৩ জনসহ মোট ১১ লাখ ৮৮ হাজার ৮২০ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২৬১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ১৫২ জন পুরুষ ও ১০৯ জন নারী। তাদের মধ্যে ২৫৭ জনের হাসপাতালে (সরকারিতে ১৮৫ জন, বেসরকারিতে ৭২ জন) ও বাড়িতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসাপাতালে এসেছে ১ জন। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২২ হাজার ৪১১ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার ০.১ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৯ হাজার ৩৬৫ জন, যার শতকরা হার ৮৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২ হাজার ৩৬৯ জন, যার শতকরা হার ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। বাসায় মারা গেছেন ৬৪৮ জন, যার শতকরা হার ২ দশমিক ৮৯। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ২৯ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৯৭৪ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৬ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং ৭ হাজার ৪৩৭ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৩ দশমিক ১৮ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২৬১ জনের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বয়সী ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বয়সী ৮জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৫ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৮ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৬৪ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৭৬ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৪৪ জন, আশি উর্ধ্ব ১৬ জন এবং নব্বই ঊর্ধ্ব ৯ জন।
আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ১০১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬২ জন, রাজশাহী বিভাগে ৮ জন, খুলনা বিভাগে ৪৫ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ জন, সিলেট বিভাগে ৭ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১৬ জন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২০ কোটি ২৫ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪২ লাখ ৯৪ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৮ কোটি ২০ লাখের বেশি।