বারেকটিলায় পর্যটক ঠেকাতে লাঠি হাতে ইউপি সদস্য
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জুলাই ২০২১, ৮:৪১:১২
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কঠোর লকডাউনের মধ্যেই প্রতিদিনেই নানান বয়সী ও বিভিন্ন স্থানের পর্যটক ও দর্শনার্থীরা আসছেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বারেকটিলায়। নানাভাবেও বুঝিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না পর্যটকদের।
এ অবস্থায় পর্যটকদের ঠেকাতে লাঠি হাতে নিয়ে মাঠে নেমেছেন সম্রাট মিয়া নামে এক ইউপি সদস্যকে। তিনি বারেকটিলা লাঠি হাতে নিয়ে আগত পর্যটকদের তাড়া করছেন। সম্রাট সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলায় বারেকটিলা এমন দৃশ্য দেখা গেছে। ইউপি সদস্যের লাঠছি হাতে তেড়ে যাওয়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, ঈদের ছুটিতে প্রতিদিন বারেকটিলায় বিভিন্ন স্থানের পর্যটকরা আসছেন। সরকারি বিধি নিষেধ মানছেই না। বুঝিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে পর্যটক আসায় উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের নির্দেশনায় বারেকটিলায় আগত পর্যটকদের প্রথমে বুঝিয়ে ফেরাতে না ইউপি সদস্য সম্রাট মিয়া লাঠি হাতে নিয়ে পর্যটকদের দিকে তেড়ে যান। এতে করে আগত পর্যটকরা দৌড়াতে দেখা গেছে। এই কাজে সহযোগিতা করেন এক গ্রাম পুলিশ।
আগত এক পর্যটক বলেন, করোনার মধ্যে বারেকটিলায় আসায় এক মেম্বার আমাদেরকে লাঠি হাতে নিয়ে মারমুখী ভঙ্গিতে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তবে আঘাত করেন নি।
তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে সবাই এসেছিল তাই আমরাও এসেছি। এখন কি আর করা বাড়ি চলে যাব।
এ বিষয়ে উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য ও সীমান্ত এলাকা চানপুর গ্রামের বাসিন্দা সম্রাট মিয়া জানান, করোনার সময় ও কঠোর লকডাউনের মধ্যে বারেকটিলায় আগত পর্যটকদের ফিরিয়ে দিতে ইউএনও স্যার ও আমাদের উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেছেন। বারেকটিলায় আসা পর্যটকদেরকে ফেরাত মাইকিং করেছি ও বুঝিয়ে ফেরাতে না পেরে লাঠি হাতে নিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছি। লাঠি হাতে নিয়ে তাড়া করলেও কাউকে আঘাত করা হয় নি।
চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, সরকার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর লকডাউন দিয়েছেন। আর পর্যটন স্পষ্ট গুলোতে পর্যটকদের নৌকায় পরিবহন ও আগমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যেও পর্যটকগন আসছেই। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই। সরকারী নির্দেশ মেনে চলতে বলেছি। মাইকিংও করা হয়েছে। এর পরও কেউই মানছে না। তাই আগত পর্যটকদের বুঝিয়ে ফিরিয়ে দিতে ঐ ওয়ার্ডের মেম্বার সম্রাট মিয়াকে বলেছিলাম।