দেশে আবারও সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ জুলাই ২০২১, ৬:৫১:৪০
কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৪৯২তম দিনে দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ২২০ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬৩৯ জন।
এই সময়ে ১৩ হাজার ৭৬৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ শনাক্ত। এর আগে গতকাল দেশে সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল ১১ হাজার ৮৭৪ জন। গতকাল ১১ জুলাই সর্বোচ্চ ২৩০ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৪৪ হাজার ৬৭টি নমুনা পরীক্ষায় ১৩ হাজার ৭৬৮ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২৪ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৫১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৮৫৪ টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৭০ লাখ ১৫ হাজার ২৩৪টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৯৫৭ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় সাত হাজার ২০ জনসহ মোট আট লাখ ৮১ হাজার ৫২১ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ১৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২২০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ১৪২ জন পুরুষ ও ৭৮ জন নারী। তাদের মধ্যে ২০৭ জনের হাসপাতালে (সরকারিতে ১৬৭ জন, বেসরকারিতে ৪০ জন) ও বাড়িতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ১৬ হাজার ৬৩৯। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬১ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৬৫০ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭০ দশমিক ০২ শতাংশ এবং চার হাজার ৯৮৯ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২২০ জনের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বয়সী ৯ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৭ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৬ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৬ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১২১ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৬৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৩ জন, খুলনা বিভাগে ৫৫ জন, বরিশাল বিভাগে ৪ জন, সিলেট বিভাগে ৬ জন, রংপুর বিভাগে ১৮ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১৩ জন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৮ কোটি ৭৭ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪০ লাখ ৫১ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৭ কোটি ১৬ লাখের বেশি।