হারের পর কাঁদলেন নেইমার, মেসির চোখেও আনন্দাশ্রু
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জুলাই ২০২১, ৩:৩৭:৪১
জীবনের নিয়মই যেন এমন, একদিকে হাসি আর আরেকদিকে কান্না। তেমনি মাঠেও দেখা গেল একই দৃশ্য। মারাকানার ফাইনালে মুখোমুখি হওয়া দুই বন্ধুর একজন মাতলেন শিরোপা উৎসবে। আরেকজন মাঠ ছাড়লেন কান্নায়।
কোপা আমেরিকা জয় হতে পারতো নেইমারের প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপা। তবে এবার যেন ফুটবল ঈশ্বর চোখ তোলে তাকালেন মেসির দিকে। বার্সেলোনার জার্সিতে প্রত্যেকটি শিরোপা তিনবার করে জিতেছেন যে তারকা, তিনি কেন আর্জেন্টিনার জার্সিতে শিরোপাহীন—এমন অপবাদ যেন এবার থামল।
নিজের ক্যারিয়ার তো বটে, আর্জেন্টিনার ২৮ বছরের অপেক্ষাও ঘোচালেন মেসি। সেই ১৯৯৩ সালে কোপা জয় ছিল লা আলবিসেলেস্তেদের শেষ কোনো প্রধান আসরের শিরোপা। তারপর স্বপ্ন দেখতে দেখতে গেছে অসংখ্য রাত।
২০১০ ব্রাজিল বিশ্বকাপে মেসির পায়ে আরেকটি স্বপ্নের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়ায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু মারাকানায় শেষ মুহূর্তে জার্মানির হাতে হৃদয় ভাঙে মেসিদের। অপেক্ষা বাড়তেই থাকে। তার মধ্যে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে টানা দুইবার ফাইনালে উঠে দুইবারই চিলির বিপক্ষে হারে আর্জেন্টিনা।
এবার যেন লা আলবিসেলেস্তেদের সব কষ্টের বরফ এক নিমেষে গলে পানি হয়ে গেলো কোপা জয়ে। ফাইনালে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারানোর পর মারাকানায় বাধভাঙা উল্লাসে মাতে আর্জেন্টাইনরা। আনন্দাশ্রু দেখা যায় মেসির চোখে। ম্যাচ শেষে পরিবারের সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বলেন আসরের সেরা খেলোয়াড় ও শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জেতা তারকা।
মেসির আনন্দের দিনে কান্নাভেজা চোখ ছিল নেইমারের। পিএসজি তারকাও স্বপ্ন দেখেছিলেন, ব্রাজিলকে কোপা জেতানোর। চেষ্টার তিনিও কমতি রাখেননি। পুরো আসরে ২ গোলের পাশাপাশি ৩ অ্যাসিস্টে সেলেকাওদের ফাইনালে তুলতে বড় অবদান রাখেন নেইমার। মেসির সঙ্গে যৌথভাবে ভাগাভাগি করেছেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
কিন্তু শিরোপা তো জেতা হলো না। তবে কান্নার পাশাপাশি বন্ধু মেসির শিরোপা জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন নেইমার। বার্সার দুই সাবেক তারকাকে দেখা যায়, ম্যাচ শেষে একজন আরেকজনকে বেশ কিছুক্ষণ ধরে জড়িয়ে ধরে রাখতে। গ্রহের দুই সেরা খেলোয়াড়ের এমন আবেগঘন মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে থাকল ফুটবলের অসংখ্য অম্ল-মধুর স্মৃতি জন্মদাতা মারাকানা।