ফেরিতে যাত্রী-যাত্রীবাহী গাড়ি পারাপারে বিআইডব্লিউটিসি’র নিষেধাজ্ঞা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ জুলাই ২০২১, ৩:১০:৩৭
করোনা সংক্রমণ রোধে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলমান কঠোর লকডাউনের আওতায় শুক্রবার থেকে বিভিন্ন নৌপথে ফেরিতে যাত্রী ও যাত্রীবাহী সব ধরনের গাড়ি পারাপার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি সাপেক্ষে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দুপুরে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
তবে জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি এবং রাষ্ট্রীয় সেবা সংস্থাগুলোর গাড়ি কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পারাপার হতে পারবে বলে এতে জানানো হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয় বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ বছর মার্চে শুরু হয় করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে এবার সংক্রমণ বেশি তীব্র এবং প্রাণঘাতী। গত কয়েক দিনে দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যুতে রেকর্ড হয়েছে।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রথমে গত ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। দফায় দফায় এই বিধিনিষেধ ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
গত ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করাসহ শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
এই বিধিনিষেধে জরুরি সেবার বাইরে সরকারি-বেসরকারি অফিস, মার্কেট, দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ রয়েছে। জরুরি ও পণ্য পরিবহন ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যান চলাচল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনী কেনাকাটা সারতে হচ্ছে।