যুক্তরাজ্যে ওঠে যাচ্ছে মাস্ক ও সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জুলাই ২০২১, ৫:০৫:৪৮
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, কভিড লকডাউন রোডম্যাপের চূড়ান্ত পর্যায়ে মাস্ক পরার আইনি বাধ্যবাধকতা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নিয়ম তুলে নেওয়া হবে। খবর বিবিসির।
১৬ মাস ধরে প্রায় নিয়মিতভাবে যেসব নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছিল, যেমন বাড়ির মধ্যে পালনীয় ৬টি নিয়ম এবং ওয়ার্ক-ফ্রম-হোম নির্দেশনাও বিলুপ্ত করা হবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী কভিড লকডাউন রোডম্যাপের শেষ ধাপ ১৯ জুলাই শুরু হবে। তার আগে ১২ জুলাই সর্বশেষ তথ্য বিশ্লেষণ করেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
ডাউনিং স্ট্রিটে এক সংবাদ সম্মেলনে জনসন বলেন, স্কুল খোলা, ভ্রমণ ও সেলফ আইসোলেশনের নতুন নির্দেশনা কয়েক দিনের মধ্যে জানানো হবে।
আরও বলেন, মুখ ঢেকে রাখার আইনগত কোন বাধ্যবাধকতা না থাকলেও, ‘সৌজন্য’ হিসেবে জনাকীর্ণ কোন জায়গায় গেলে তিনি নিজে মাস্ক পরিধান করবেন।
জনসন জানান, ইংল্যান্ডে সফল টিকা কার্যক্রমের কারণে নতুন কভিড রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর হার কমানো গেছে, আর সে কারণেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ যেগুলো মানার জন্য আইনি বাধ্যবাধকতা ছিল তা তুলে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
তবে সতর্ক করে বলেন, এ মাসের শেষের দিকে দেশটিতে দিনে ৫০ হাজার রোগী শনাক্ত হতে পারেন এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জনসন বলেন, “গণটিকা কার্যক্রমের মাধ্যমে যখন আমরা পরিষ্কারভাবে অনেকটাই সফল হয়েছি, তখন সামনে না এগোলে কবে এগোব?”
যারা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন, তাদের সেলফ আইসোলেশনের নিয়ম আগের মতোই থাকবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, টিকার ডোজ সম্পন্ন হয়েছে এমন ব্যক্তিদের জন্য নতুন নির্দেশনা শিগগিরই জানিয়ে দেওয়া হবে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ জানান, ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে থাকা অবস্থায় মানুষকে যেসব অবশ্য পালনীয় বিধিমালা অনুসরণ করতে হবে, সে সম্পর্কে মঙ্গলবার পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন।
বিশেষ করে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে দেশে যখন নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে, সে অবস্থায় বিশ্বের কোন দেশ এভাবে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার উদ্যোগ নেয়নি।
বিশ্লেষকদের কেউ কেউ এ জন্য অন্তত শরৎকাল পর্যন্ত অর্থাৎ যখন দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের টিকাদান সম্পন্ন হবে, সে পর্যন্ত অপেক্ষার পরামর্শ দিচ্ছেন।
গ্রীষ্ম হলো ফ্লু মৌসুম। ফলে কভিডের সঙ্গে ফ্লু যোগ হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে।
সোমবার যুক্তরাজ্যে ২৭ হাজার ৩৩৪ জন আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন, মারা গেছেন নয়জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি।