২০ দিনে দেশের সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতাল প্রস্তুত
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ এপ্রিল ২০২১, ৫:২৭:২১
মাত্র ২০ দিনে দেশের সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, বিকেল থেকে হাসপাতালটির ২৬০টি শয্যা সচল হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, গোটা বিশ্বের ন্যায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আমাদের দেশেও হানা দিয়েছে। করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ঢাকার সব হাসপাতালের আইসিইউ শয্যা পূর্ণ হয়ে গেছে। প্রতিদিনই আইসিইউ চাহিদা বাড়ছে। এরকম একটি কঠিন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জরুরিভিত্তিতে ডিএনসিসির এ মার্কেটটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে হিসেবে চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য মোট শয্যা সংখ্যা রয়েছে ১০০০টি। এর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ আইসিইউ শয্যা আছে ২১২টি, এইচডিইউ শয্যা আছে ২৫০টি, কোভিড আইসোলেটেড কক্ষ আছে ৫৩৮টি। এখানে ইমার্জেন্সি শয্যা আছে ৫০টি, যার ৩০টি পুরুষ ও নারী রোগীর জন্য ২০টি । এর পাশাপাশি এখানে আরটি পিসিআর ল্যাব, প্যাথলজি, রেডিও থেরাপি সেন্টার, এক্সরেসহ অন্যান্য সুবিধাও রয়েছে।
দেশের প্রতিটি হাসপাতালে কোভিড ডেডিকেটেড শয্যা সংখ্যা বাড়ানো ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন সুবিধা বাড়ানোর বিষয়টি উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমানে দেশের প্রায় ১০০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আরও ৩৪টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালুর কাজ চলমান। এর ফলে বর্তমানে দেশে প্রায় ১২ হাজার শয্যায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। এসব সুবিধা দেশের কোভিড রোগীদের জীবন রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুর ইসলাম, স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালক (অপারেশন্স অ্যান্ড ট্রেনিং) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঞ্জুর আহমেদ, ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন প্রমুখ।