বনানী কবরস্থানে সমাহিত হলেন কবরী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ এপ্রিল ২০২১, ৫:১৫:২৩
বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে বরেণ্য চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, নির্মাতা ও সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরীকে।
শনিবার বাদ জোহর জানাজা শেষে বেলা ২টার দিকে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে একইস্থানে তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ দিনের মাথায় শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবরী।
তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শোক প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারসহ শোবিজ অঙ্গনের তারকা, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো।
গত ৫ এপ্রিল কবরীর নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাসের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর ওইদিন রাতেই তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৮ এপ্রিল তাকে স্থানান্তর করা হয় শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের আইসিইউতে।
১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জন্মগ্রহণ করেন কবরী। তার পারিবারিক নাম ছিল মিনা পাল। বাবা শ্রীকৃষ্ণ দাস পাল ও মা লাবণ্য প্রভা পাল। ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে উঠেছিলেন তিনি।
১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় কবরীর। তার অন্যান্য জনপ্রিয় ছবির মধ্যে রয়েছে জলছবি, বাহানা, সাত ভাই চম্পা, আবির্ভাব, বাঁশরি, যে আগুনে পুড়ি, দীপ নেভে নাই, দর্পচূর্ণ, ক খ গ ঘ ঙ, বিনিময়, সুজন সখী, আগন্তুক, নীল আকাশের নীচে, ময়নামতি, সারেং বৌ, দেবদাস, হীরামন, চোরাবালি, পারুলের সংসার, আরাধনা, দুই জীবন ও তিতাস একটি নদীর নাম।
৫ দশকের বেশি সময় চলচ্চিত্রে রাজ্জাক, ফারুক, সোহেল রানা, উজ্জ্বল, জাফর ইকবাল ও বুলবুল আহমেদের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। ঢাকার চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি ছিলেন রাজ্জাক-কবরী। ফারুক ও বুলবুল আহমেদের সঙ্গেও তার জুটি জনপ্রিয়তা পায়।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-সহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন কবরী।