বাংলাদেশকে এখন আর দরিদ্র বলা চলবে না : পরিকল্পনামন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৫২:০৯
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে ঋণের আশ্বাস দিয়ে অনেকেই সরে গিয়েছিল। কিন্তু আমরা হতাশ হইনি, থেমে থাকিনি। নিজেদের অর্থায়নেই পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সাহসের জন্য। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর পর এমন সাহসী রাষ্ট্রনায়ক বাংলাদেশে ছিল না।
তিনি বলেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীরও একটি পক্ষপাতিত্ব আছে-এটি গরিবের পক্ষ। তিনি চান, নতুন সকল প্রকল্প হোক ভাটির, চরের, উপকূলের এবং পাহাড়ের বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে সুনামগঞ্জ শহরের হাউজিং এস্টেটে জেলা পরিষদ ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদে সুনামগঞ্জের উন্নয়ন ভাবনা শীর্ষক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিয়েছে। যা এই উপমহাদেশের বড় দেশগুলোই পারেনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এখন আর দরিদ্র বলা চলবে না। বাংলাদেশের মানুষ এখন তিনবেলা পেট ভরে খেতে পারে।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটের সভাপতিত্বে এবং যুবলীগ নেতা সবুজ কান্তি দাস ও ইউপি চেয়ারম্যান রঞ্জিত চৌধুরী রাজনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজাদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম, ছাতকের আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহমদ চৌধুরী, ইসলামগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ সাজিনুর রহমান, পৌর কলেজের অধ্যক্ষ শেরগুল আহমদ, গৌরারং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন আলী।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল।
এর আগে মন্ত্রীকে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ ও সদর উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়।
উদ্যোক্তরা সুধী সমাবেশের আয়োজন করলেও সকাল থেকে এই আয়োজন উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল সহকারে যোগ দেন বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশে পরিণত হয় আয়োজন। সমাবেশ চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।