এমসি কলেজে দলবদ্ধ ধর্ষণ: চার শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব সাময়িক বাতিল
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ অক্টোবর ২০২০, ২:৪০:২৮
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চার শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে বাতিল করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার রাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১০তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ। সভায় এই ধরনের ন্যক্কারজনক ও বর্বর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিন্ডিকেট সদস্যরা।
এ ছাড়া অধিভুক্ত কলেজগুলোতে যেন এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
মঙ্গলবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. ফয়জুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ছাত্রত্ব বাতিল হওয়া চার শিক্ষার্থী হলো ওই কলেজের বিএসএস ডিগ্রি পাস কোর্সের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের অনিয়মিত ছাত্র সাইফুর রহমান (২৮), ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি মাস্টার্স ফাইনাল বর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), বিএসএস ডিগ্রি পাস কোর্সের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম (২৫) ও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্স ফাইনাল বর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান (২৫)।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মোট নয়জনের বিরুদ্ধে ওই তরুণীর স্বামী শাহপরান থানায় মামলা করেন।
এই ঘটনা তদন্তে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তদন্তে ওই চার শিক্ষার্থীর ধর্ষণকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট।