জনসন-প্রীতির ‘অপ্রীতিকর মন্তব্যে’ শঙ্কিত ব্রিটেনের বাংলাদেশি আইনজীবীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ অক্টোবর ২০২০, ১২:৫৩:৪৪
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি প্যাটেল কিছু আইনজীবীকে ‘বামপন্থী’ বলে আক্রমণ করায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সেখানকার বাংলাদেশি প্রবাসী আইনজীবীরা।
আশ্রয়প্রার্থী অভিবাসীদের যেসব আইনজীবী সাহায্য করছেন তাদের মূলত এভাবে তকমা দিচ্ছে জনসন প্রশাসন। প্রীতিদের দাবি, এই আইনজীবীদের কারণে তাদের বিচার ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
দ্য সোসাইটি অব ব্রিটিশ বাংলাদেশি সলিসিটরের সদস্যরা ব্রিটেনের আইন বিষয়ক সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন দ্য ল সোসাইটি গেজেটকে বলেছেন, ‘গত রবিবার প্রীতি যে ভাষায় তাদের আক্রমণ করে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি উদ্বেগের।’
‘এই দেশের সংখ্যালঘুরা আসলেই অবহেলিত,’ অভিযোগ করে সোসাইটির প্রেসিডেন্ট এহসান হক সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, ‘যাদের অধিকার আছে তাদের জন্য আইনজীবীদের সাহায্য পাওয়া তো অপরিহার্য বিষয়। কিন্তু কেউ যখন এমন আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে তখন সেটি হতাশার।’
‘আমাদের অনেক সদস্য শরণার্থী সুরক্ষা কাজে নিয়োজিত। স্বরাষ্ট্রসচিবের এমন মন্তব্যে তাদের অনেকেই এখন কাঁপছে। আমরা আশা করছি তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে বোঝাবেন যে আমাদের সমাজের মানুষের অধিকার রক্ষায় যারা কাজ করছেন তাদের প্রতি তিনি ইতিবাচক।’
ব্রিটিশ বাংলাদেশি আইনজীবীদের পাশাপাশি স্কটিশ বারের আইনজীবী অনুষদও সরকারের এই মন্তব্যকে ‘অসহায় ভাষা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে।
প্রীতি প্যাটেলের কাছে লেখা খোলা চিঠিতে অনুষদের ডিন রডারিক উইলিয়াম ডানলপ কিউসি বলেছেন, ‘এই দেশে আইনজীবীদের প্রতি সহিংসতার এমন দৃষ্টান্ত বিরল। এটা মারাত্মক ক্ষতিকর ব্যাপার।’
প্রীতির মতো প্রধানমন্ত্রী জনসনও সম্প্রতি তার কনফারেন্সে ‘বামপন্থী মানবাধিকার আইনজীবী’ ভাষা ব্যবহার করেন।
লিভারপুল ল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট জুলি ও’আরে এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ করে অন্য আইনজীবীদের সমর্থন করেছেন।