গৃহকর্মী রাখার সামর্থ্য নেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর!
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১:২২:৪২
বেতন কমার কারণে গৃহকর্মী রাখতে পারবেন কিনা তা নিয়ে চিন্তিত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তার কয়েকজন বন্ধু সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এখন বরিসের কোনো গৃহকর্মী নেই। শুধু একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছেন। কয়েক মাস আগে আবার বাবা হওয়ায় এখন অন্তত একজন আয়ার প্রয়োজন বোধ করছেন তিনি। কিন্তু তার বর্তমান বেতনে আয়া রাখা সম্ভব হবে না। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্টের।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বছরে প্রায় দেড় লাখ পাউন্ড বেতন পেয়ে আসছিলেন বরিস। সম্প্রতি এই বেতনের উল্লেখযোগ্য অংশ কমানো হয়েছে।
কনজারভেটিভ দলের এই নেতা এ বছরের শুরুর দিকে আবারও বাবা হন। তার বাগদত্তা ক্যারি সাইমন্ডস পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। বরিসের একজন সহযোগী টাইমসকে বলেছেন যে, আগের প্রধানমন্ত্রীদের মতো তিনিও (বরিস) ‘খুব, খুব খারাপ সেবা পেয়ে আসছেন’।
বরিসের বন্ধুরা বলেন, ‘তার (বরিসের) কোনো গৃহকর্মী নেই। তার শুধু একজন ক্লিনার রয়েছে। তিনি এখন একজন গৃহকর্মী রাখার সামর্থ্য নিয়ে চিন্তিত। তিনি ফ্ল্যাটে আটকে আছেন। ডাউনিং স্ট্রিট থাকার মতো সুন্দর জায়গা নয়। এটি এলিসি বা হোয়াইট হাউসের মতো নয়, যেখানে আপনি অনেক কিছু থেকে সরে থাকতে পারেন, কারণ সেগুলো অনেক বড় পরিসরের বরিস বা কেরি যদি গোলাপ বাগানে যেতে চাইলেও তাদের অফিসের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।’
প্রধানমন্ত্রী হবার আগে লেখালেখি করেন, বক্তব্য দিয়ে বড় অংকের অর্থ আয় করতেন বরিস। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের সর্বোচ্চ সম্মানির কলাম লেখক ছিলেন তিনি।এসব থেকে তিনি বছরে সাড়ে তিন লাখ পাউন্ডের বেশি আয় করতেন।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ওজন হ্রাস পাওয়ায় কনজারভেটিভ পার্টির সংসদ সদস্যরাও অবাক হয়েছন। বরিস জনসন সম্প্রতি অতিরিক্ত ওজনের বিষয়ে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়ে ব্রিটিশদের চলতি বছরের করোনার সম্ভাব্য দ্বিতীয় তরঙ্গের আগে ওজন হ্রাস করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্চের শেষ দিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন জনসন। ৫ এপ্রিল লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি হন তিনি। তিন রাত কাটান সেখানে। এরপর তাকে ওয়ার্ডে দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে এক সপ্তাহ হাসাপাতলে ছিলেন জনসন। অর্থাৎ প্রায় এক মাস পর সুস্থ হয়ে কাজে ফিরছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।