দেশীয় মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়নসহ ৪ প্রকল্পের অনুমোদন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৭:২৫:৫৯
‘দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পসহ মোট চারটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হবে ৫৩৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা যার ৪৪০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে। আর প্রকল্প সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে ৯৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার বৈদেশিক ঋণ।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সভাকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, একনেকে অনুমোদিত চার প্রকল্পের মধ্যে তিনটি সংশোধিত প্রকল্প ও একটি নতুন প্রকল্প রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো- উত্তম মৎস্য চাষ অনুশীলন করে দেশীয় প্রজাতির মাছ ও শামুক উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি তা সংরক্ষণ করা।
এমএ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের আওতায় শামুক উৎপাদন সংযোজন করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য হলো এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিলুপ্ত প্রায় মূল্যবান দেশীয় প্রজাতির মাছের সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করা।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তর ২০২ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে জুলাই-২০২০ থেকে জুন-২০২৪ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্প এলাকায় অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের মাছের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা ভিত্তি বছর ২০১৭-১৮ এর উৎপাদন ৩ লাখ ৮৩ হাজার মেট্রিক টন হতে ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৪ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে।
এছাড়া দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ উন্নয়নের লক্ষ্যে ৩৯২টি দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ প্রদর্শনী ও ১৫টি শামুকের প্রদর্শনী স্থাপন, ১০০ ইউনিট খাঁচায় মাছ চাষ প্রদর্শনী, ১১০টি ধানক্ষেতে মাছচাষ প্রদর্শনী ও ৩৯২টি পেনে মাছ চাষ প্রদর্শনী স্থাপন করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শেষ হলে দেশীয় প্রজাতির মাছের সংরক্ষণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে নিরাপদ মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে যা খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে।
একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হলো- গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (ইউআরপি): রাজউক (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, গাজীপুর এর অ্যাপ্রোচ সড়ক প্রশস্তকরণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প।