পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৮১ ভাগ: সেতুমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৩:৫৯:১৫
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৮১ ভাগেরও বেশি। সেতুর মূল কাজ ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
শুক্রবার পদ্মা সেতুর উন্নয়নকাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক এক সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
সংসদ ভবনের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সভায় যুক্ত হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
পদ্মা সেতুতে কর্মরত সকল পদ্মা সেতু প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনির বলেন, প্রকল্পের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো কাজ কেউ করবেন না। সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রকল্প এটি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই পদ্মাসেতু প্রকল্পে কোনো আর্থিক সংকট নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকতে এ প্রকল্পে আর্থিক সংকট হবে না। বাজেটে পদ্মা সেতুর জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রয়েছে।
তিনি বলেন, নানান চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে সেতু নির্মাণের কাজ আজ এ পর্যায়ে এসেছে। সকল সমালোচনা পেছনে ফেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেন। আজ এগিয়ে চলছে সেতুর কাজ। বসেছে একের পর এক স্প্যান। ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৩১টি ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। দৃশ্যমান হয়েছে চার হাজার ৬৫০ মিটার।
পৃথিবীর নদীগুলোর মধ্যে পদ্মা একটি আনপ্রেডিক্টেবল রিভার উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, এখানে সয়েল কন্ডিশনগুলোসহ অন্যান্য বিষয়ে সময়-সময় বদলায়। অতি সম্প্রতি কিছু স্প্যান স্থাপনের পরিকল্পনা তীব্র স্রোতের কারণে সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, করোনাকালে এক মুহূর্তের জন্যও পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ থেমে থাকেনি। দেশের অন্যান্য উন্নয়ন গতিতে যখন ছন্দপতন, তখনো সেতুর ওপর বসেছে একের পর এক স্প্যান।
বিএনপি মহাসচিব সংসদে এলে ‘স্ট্রং মেসেজও’ দিতে পারতেন
রাজনীতি দলের নিবন্ধন আইন সংশোধন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগ নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য হলো নির্বাচন বিষয়ক বিষয়াদি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। এটি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য থাকলে সরকারও নির্বাচন কমিশনকে জানাবো। কোনো নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন কর্তৃত্বে ভূমিকা পালন করে। সরকার এ ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপ
করে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তবে সরকার তাদের সহযোগিতা করে এবং তা দিতেও বাধ্য। সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে কমিশনকে ভবিষ্যতেও সংবিধান অনুযায়ী সহযোগিতা করবে সরকার।
বর্তমান কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি কোথাও জিতেছে কোথাও হেরেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি জয় পেলে বলে আরও বেশি ভোটে জিততে পারতো। আর হেরে গেলে পরাজয়ের দায়ভার স্বভাবসুলভ ভাবে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর চাপায়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের প্রসঙ্গ টেনে সেতুমন্ত্রী বলেন, এ কমিশনের অধীনে নির্বাচন করে নির্বাচিত হয়েও সংসদে না এসে পদত্যাগ করেন। অথচ নিজের দলের লোকেরা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন। অন্যদের মতো সংসদে থাকলে তারা আরও স্ট্রং মেসেজ দিতে পারতেন অপজিশনের একজন নেতা হিসেবে। আমি মনে করি তারা এটা না করে জনগণের আস্থার সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করেন, যার মধ্যে বিএনপির প্রতিনিধিও ছিল। এখনো নির্বাচন কমিশনে বিএনপি সমর্থিত প্রতিনিধি আছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আমলে কমিশন গঠনে কখনো আওয়ামী লীগের নাম নেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশন গঠন কিংবা বাতিলের এখতিয়ার সরকারের নয়, সময় হলেই রাষ্ট্রপতি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।