সংশোধন হচ্ছে শিক্ষানীতি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ আগস্ট ২০২০, ১০:০৪:২২
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রায় ১০ বছর আগে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এখন সময় এসেছে শিক্ষানীতিকে সংশোধন করা, পরিমার্জন ও সংযোজন করা। তাই সরকার শিক্ষানীতি-২০১০ সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছে।
বুধবার (২৬ আগস্ট) পরিকল্পনা কমিশনের আয়োজনে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ‘এডুকেশন টেকনোলজি অ্যান্ড এগ্রিকালচার ট্রান্সফর্মেশন’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
ইতোমধ্যে আমরা দেশের বিপুল জনসংখ্যাকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে পেরেছি উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখন প্রয়োজন শিক্ষার গুণগত মান অর্জন। শিক্ষার সকল পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। একটি সমন্বিত শিক্ষা আইন প্রণয়ন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে সরকার সাইন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং আর্টস অ্যান্ড ম্যাথস (স্টিম) এর দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা চাই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে দক্ষ শ্রমশক্তি তৈরি করার পাশাপাশি প্রকৃত মানুষ তৈরি করতে। এজন্য সরকার সততা, নৈতিকতা, দেশপ্রেম, কমিউনিকেশন স্কিল, টিম বিল্ডিং, ক্রিটিক্যাল থিংকিং প্রবলেম সলভিং সহ বিভিন্ন সফট স্কিলের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। অনলাইন শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে আমাদের কর্মক্ষেত্র এত পরিবর্তন হবে যে বর্তমানে অর্জিত জ্ঞান হয়তো ভবিষ্যতে আর প্রয়োজন হবে না। সে ক্ষেত্রে কর্মজীবীদের পক্ষে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে যাতে করে কোনো কর্মজীবী যে কোনো সময় যে কোনো পরিবর্তনের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে রি-স্কিল এবং আপ-স্কিল করতে পারে। সে যেন অনলাইনের মাধ্যমে শিখতে পারে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সে সুযোগ রাখতে হবে।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. শামসুল আলম। ড. শামসুল আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যসহ দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদবৃন্দ। কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পরে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ পেয়েছি যে তারা প্রয়োজনীয় দক্ষতা সম্পন্ন মানব সম্পদ পাচ্ছেন না। তার মানে হলো আমরা শিক্ষার্থীদের শ্রম বাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারছি না। আমাদের এখন দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।