বাংলাদেশকে ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ হস্তান্তর
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জুলাই ২০২০, ৫:২৬:৪৮
সুনীল সিংহ : ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শংকর বলেছেন, পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে রচিত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার কালোত্তীর্ণ গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
কোভিড-১৯ মহামারীতেও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার গতি হ্রাস না পাওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, চলমান ঐতিহাসিক মুজিববর্ষে তিনি এ জাতীয় আরও মাইলফলক অতিক্রম করার প্রত্যাশা করছেন।
আজ সোমবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভারত সরকারের অনুদান সহায়তায় ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ ইঞ্জিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
রেলপথ, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধিতে এবং দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে রেল সহযোগিতার তাৎপর্যকে গুরুত্ব দেন।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শংকর এবং রেল, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভের বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অঙ্গদি সুরেশ। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবুল কালাম আব্দুল মোমেন রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন এবং লোকোমোটিভগুলো গ্রহণ করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে স্থল সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ভারত ও বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব হ্রাস করতে রেল সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করেছে। ব্যয় সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব বাহন হিসেবে রেল আন্তঃ সীমান্ত পণ্য পরিবহণে সহায়তা করেছে। জুন মাসে দু’দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মালবাহী ট্রেন চলাচল হয়েছিল। প্রয়োজনীয় পণ্য এবং কাঁচামাল বহনের জন্য মোট ১০৩ টি মালবাহী ট্রেন ব্যবহৃত হয়।
সম্প্রতি, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পার্সেল এবং কনটেইনার ট্রেন পরিষেবাও শুরু হয়েছে। এতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভারত সরকারের অনুদান সহায়তায় এই লোকোমোটিভগুলির হস্তান্তর। ২০১৯ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে করা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি পূরণ করে। ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে লোকোমোটিভগুলিকে যথাযথভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে। এই লোকোমোটিভগুলি বাংলাদেশে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে।