জগন্নাথপুরের কিশোরপুরসহ হাওর এলাকায় ডাকাত আতঙ্ক : চলছে গরু চুরির হিড়িক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জুলাই ২০২০, ১২:১৮:২৮
স্টাফ রিপোর্টার : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের কিশোরপুরসহ হাওর এলাকায় ডাকাত আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ডাকাতরা নৌকাযোগে হাওর সংলগ্ন বিভিন্ন বাড়িতে হানা দিচ্ছে। প্রায় প্রতিরাতেই ডাকাতদের আক্রমণে গ্রামের লোকজন রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছেন।
জানা গেছে, সাম্প্রতিককালে হাওর অধ্যুষিত উপজেলার পাইলগাঁও, রানীগঞ্জ, কলকলিয়া, চিলাউড়া হলদিপুর ও আশারকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের লোকজন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছেন। এ সুযোগে জলদস্যুরা নৌকাযোগে হাওরসংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামে হানা দিচ্ছে।
এদিকে, বুধবার রাতে উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামে নৌকাযাগে হানা দেয় জলদস্যুরা । তারা প্রবাসীদের বাড়ি লক্ষ্য করে এগিয়ে আসলেও তাদের টর্চলাইটের ফোকাস দেখে লোকজন চিৎকার শুরু করেন। এ সময় গ্রামবাসী তাদের প্রতিহতের উদ্যোগ নিলে তারা পালিয়ে যায়।
গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রকিব জানান, প্রতিদিন ডাকাতরা নৌকাযোগে এ এলাকায় হানা দিচ্ছে। ডাকাত আতঙ্কে আমরা রাত জেগে পাহাড়ার ব্যবস্থা করেছি।
তিনি বলেন, গত দু’দিনে উলুকান্দি গ্রামের গফুর মিয়া ও হান্দু মিয়ার বাড়ি থেকে সাতটি গরু নিয়ে যায় জলদস্যুরা।
চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ মিয়া জানান, বন্যা দেখা দেওয়ার পর থেকে জলদস্যুদের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। গরু চুরিও মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ইউনিয়নের অনেক গ্রামে রাত জেগে পাহাড়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাশিম জানান, ইউনিয়নের কমপক্ষে ১০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় চোর-ডাকাতদের আতঙ্কে রয়েছেন। প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রামে বেড়ে গেছে গরু চুরি। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
আশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আবু ঈমানী বলেন, প্রতিদিন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে গরু চুরির খবর পাওয়া যাচ্ছে। রয়েছে জলদস্যুদের উৎপাত।
জগন্নাথপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, জলদস্যুদের উৎপাত বন্ধে নৌ টহল জোরদার করা হয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত কোন ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ তৎপর রয়েছে।